পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। శ్సిని মনোরমার কুটারখানি পূৰ্ব্বদ্বারি, রাস্তার ধরেই। কুটরের দক্ষিণ ও উত্তরে একটু একটু ভূমী আছে। সম্মুখে একটা অতি ক্ষুদ্র প্রাঙ্গন। প্রাঙ্গনের সুখেই রাস্ত। উত্তরে ও দক্ষিণে যে জমী আছে তাহাতে গোটাকতক কাটাল গাছ, দুইটা কি তিনটা নারিকেল গাছ, ও দুইটা লেবুর গাছ আছে। এতদ্ভিন্ন ঘেটুকু খালি আছে তাহাতে বেগুন, পালন শার্ক, কড়াইগ্লুটা ইত্যাদি প্রস্তুত করা হইয়াছে। সকলের দক্ষিণে একটু জমা পতিত থাকে তাহাতে উলুখড় হয়, সেই খড় দিয়া বিধবা বৎসর বৎসর কুটার থানি মেরামত করে। ; : * মনোরম গাত্ৰোখান করিয়া নলিনকে কহিল "নলিন, এস আমাদের বাগানে যাই ।” - . উভয়ে বাগান দেখিতে গেল। মনোরমা কছিল “এই দেপ বেগুন গাছ গুলি কেমন সতেজ হয়েছে, আর কত বেগুন ধরেছে। এবার আর মোটে তরকারি কিনতে হবে না। পালন শাক গুলিও সতেজ হয়েছিল কিন্তু গরুতে খেয়ে গিয়ে বড় ক্ষতি করেছে। কড়াইস্কুটী গুলি কিন্তু ভালো হয় নাই। জল নে দুরে, এনে উঠতে পারি না। ’ - . নলিন কহিল “আচ্ছ আজ আমি জল এনে দেব । ” , মনোরম কহিল “না তুমি কেন আনবে ? তুমি এই এক মাসের পর এক দিন অবকাশ পেয়েছ। আজও যদি কাজ কোরবে তবে আর চুটাই বা নিরেছ কেন বাড়ীই বা এসেছ কেন ? নলিন উত্তর করিল “তুমিও তো রোজেই কাজ কর। তোমারও তো এক দিন বিশ্রাম নাই৷ ” ।