পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Aste .. হরিষে বিষাদ । - , স্ত্রীর হাস্য বঙ্গন দেখিয়া জিজ্ঞাসিলেন “ কি বউ আজ ষে বড় হাসি হাসি মুখ দেখছি ?” . . . . নকৰ্ত্তীর স্ত্রী অঞ্চল হইতে চুড়িগুলি দিয়া জিজ্ঞাসিল ঠাকরুণ, এ কি বোলতে পারেন?” । . মনোরম চুড়িগুলি হস্তে লইয়া কহিলেন “এ গুলি কাচের চুড়ি। নীলবর্ণ, তোমার ফরসা হাতে বেস মানাবে এখন। আয় আমি তোকে পরিয়ে দি ” এই বলিয়া নকড়ীর স্ত্রীর হস্তধারণ করিয়া বসাইলেন। নকড়ীর স্ত্রী কহিল “না এখন পোরব না। আমার কি না তা তো জানিনে। আর পোরলে যদি ঠাকরুণ বকেন।” । মনোরমা। পাগল আর কি ? তোর জন্যে আনে নি তো কার জন্যে এনেছে ? অার একজোড়া কাচের চুড়ি পোরলে তোর শাশুড়ী আর কি বোলৰে ? এই বলিয়া বলপূৰ্ব্বক নকড়ার স্ত্রীর হন্তে চুড়িগুলি পরাইয়া দিয়া কহিলেন “ বা বেস দেখাচ্ছে বা তোর শাশুড়ীকে দেখা গিয়ে।” নকড়ীর স্ত্রী অঞ্চল গলায় দিয়া মনোরমাকে প্রণাম করিয়া বাট ফিরিয়া আসিল । ফিরিয়া আসিয়া দেখিল তাছার শাশুড়ী ও স্বামী উভয়ে পরস্পর গল্প করিতেছে। দেখিয়া পুনরায় নিজের গৃহে গমন করিল। ক্ষণকাল পরে সন্ধ্যা হইল ও নকড়ীর স্ত্রী গৃহকাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করিল, শাশুড়ীকে প্রণাম করিবার কথা ভুলিয়া গেল। পরে রন্ধন করিতে করিতে উননের আলোক চুড়ির উপর পড়ার গুশ্বমের কথা পুনরায় স্মরণ হইল। আমনি খাগুড়ীর নিকট গমন করিল, কিন্তু লজাবোধ হওয়ার ফিরিয়া রন্ধনশালায় জাগিল, প্রণাম করা হইল না। ।