পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:శి হরিত্বে বিমাঙ্গ । এরূপ অবস্থার রামলিংকে পুনরায় বাহাল করিবেন না। আশ্চর্য্যেয় বিষয় চিটীর জবাবে কলেক্টর সাহেব রামসিংকে পুনরায় বাহাল করিলেন ও যে কমাস ছুটতে ছিল তাহার অৰ্দ্ধেক বেতন দিতে আদেশ করিলেন। চিটীর উত্তর পাইয়া রামসিং যেরূপ আহলদিত, লালবিহারী বুবু সেই রূপ বিষাদিত হইলেন। যতদিন অনুপস্থিত ছিল রামসিং তাহার অৰ্দ্ধেক বেতন সরকার হইতে বুঝিয়া লইল পরে লালবিহারী বাবুকে কহিল “হজুর যা দেবেন তা দিন, তা হলে একেবারে টাকা আমি বাটী পাঠিয়ে দি ” লালবিহারী বাবু কহিলেন “তুমি এতদিন এখানে ছিলে না। আমার কাজও কিছু কর নাই। আমি তোমাকে টাকা দিব কেন ?” - - রামসিং । আমি জোর কোরছি না, আপনি অনুগ্রহ করে যদি দেন তাই বোলছিলাম। সরকারি কাজ তো এতদিন করি নাই কিন্তু সরকার বাহাদুর তার অৰ্দ্ধেক বেতন দিলেন। আমার পক্ষে উভয়েই সমান। সরকার বাহাদুর দিয়েছেন । আপনিও দিবেন মনে করেছিলাম। যদি না দেন তবে আমি আর কি কোরব ? এই বলিয়া রামসিং মুখ ভার করিয়া বাবুর নিকট হইতে চলিয়া গেল। . - লালবিহারী বাবু রামসিংহের ভার মুখ দেখিয়া ভীত হইলেন । শিরী না বাইতে বাইতে বামদিকে ডাকিলেন। ডাকিয়া কছিলেন “দেখ রামলিং, যদিও তোমার কিছু পাবার কথা নাই তথাপি তুমি আমাকে পূর্কের কাজে সন্তুষ্ট করেছ বোলে আমিও