পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিংশ পরিচ্ছেদ । yఫి{t রাধারমণ বাবু কি লইবেন সে কথা উপস্থিত লওয়ায় রাধারমণ বাবু কহিলেন সে কথা তাহার মোহরের বোলবে। তখন লক্ষ্মণ ও মোহরের জনাস্তিকে গমন করিল। অনেক পরামর্শের পর স্থির হইল যে মোহরের রায় মহাশয়ের নিকট দেড় শত টাকা চাহিবে, তাহার একশত টাকা বাবুকে দিবে আর পঞ্চাশ টাক সে নিজে ও লক্ষ্মণ এই দুই জনে ভাগ করিয়া লইবে । এইরূপ স্থির করিয়া আসিয়া লক্ষ্মণ রায় মহাশয়ের নিকট আসিয়া কছিল “সৰ স্থির হয়েছে এখন উঠুন। ওবেলা টাকা দিতে হবে।” “কত টাকা” রায় মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন । লক্ষ্মণ উত্তর করিল “রাস্তায় গিয়ে বোলব।” রায় মহাশয় জানিতেন লক্ষ্মণ এ মোকৰ্দমায় বিলক্ষণ কিঞ্চিৎ গ্রহণ করিবে। কিন্তু লক্ষ্মণের হাতে এসমস্ত কৰ্ম্মের ভার অর্পণ না করিলে লক্ষ্মণ রাগ করিয়া অপর পক্ষে যাইবে তাহাও জ্ঞান্ত ছিলেন। সুতরাং লক্ষ্মণকে কিছু বলিবার যে নাই। বৈকালে টাকা আনিবার সময় রায় মহাশয় রামটহলকে ডাকিলেন। রামটহল রায় মহাশয়ের বহুকালের বিশ্বাসী ভৃত্য, টাকার বাক্স ও চাবি রামটহলের নিকটে থাকে। রামটহল উপস্থিত হইলে রায় মহাশয় তাহাকে আপাততঃ একশত টাকার নোট খানি বাহির করিয়া দিতে বলিলেন। রামটহল গৃহকার্য্যে ব্যাপৃত থাকায় নিজে নোট বাহির করিয়া না দিয়া বাক্স ও চাবিটা রায় মহাশয়ের নিকট দিয়া কহিল আমার হাত অবসর নাই, আপনি বের কোরে দিন।” - . . .