পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$ হরিধে বিষাদ । “মলিন বেলা হলো আমি চান করি গিয়ে। তুমি গগনকে ডেকে আন। সে কাল রাত অবধি বাজারে আছে, তার খাওয়া দাওয়া হলো কি না তার তো কোন অনুসন্ধান কোরলে না ? । - নলিন কহিল "ভাল কথা মনে করেছ দিদি ; আমি এখনই যাই। ঘরে যদি কিছু খাবার থাকে তবে একটু জলখাবার দেবার উদ্যোগ করে রাখ।” এই বলিয়া নলিন গগনকে ডাকিতে । গেল। মনোরম আর কি জলখাবার রাখিবেন । ঘরে ঝুনা নারিকেল ছিল তাহারই একটা কাটলেন ও একটু গুড় এক খানি রিকিবিতে রাখিলেন। মনোরমা ভাবিলেন গুড়ের পরিবর্তে যদি একটু চিনি দিতে পারিতেন তাহা হইলে ভাল হইত। । গগন জাতিতে সদৃগোপ, দীর্ঘায়াতন কিন্তু শরীরে মেদের লেশমাত্র নাই, কেবল অস্থি ও মাংসে গঠিত। মাথায় লম্বা লম্বা চল; তাহার অগ্রভাগ আকুঞ্চিত, ঘাড় ঢাকিয়া পড়িয়া পৃষ্ঠের উপরিভাগে কালরের ন্যায় শোভা পাইতেছে। গোপ কামানো, দাঁতগুলিতে পানের রসে পাকা লাল রং ধরিয়াছে, ধুইলে আর উঠে না। মুখ খানি গোল। গগনের পরিধান একখানি কালোপেড়ে ধুতি, গায়ে একথানি চেকওয়াল র্যাপার, পায়ে এক জোড়া ঠনঠনিয়ার পম্প জুতা। বাবুর বাড়ীর সকল ভূত্য অপেক্ষা গগন চালাক। এক কথা গগনকে কখন দুবার বলিতে হয় না। গগন কোন কাজেই ঠকে না। এজন্য বাবু গগনকে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ভাল বাসেন। যে কাজ আর কেহই না করিতে পারে গগন তাহ অনায়াসে সম্পন্ন করে। -