পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, একত্রিংশ পরিচ্ছেদ । বটম্যাঙ্গ। বোলে দেখা তো যাবে, কিন্তু ৰোধ হয় গুনবে না। পরদিবস প্রত্যুষে গাত্রোধান করিয় ভট্টাচাৰ্য মহাশয় শু লক্ষ্মণচঞ্জ একজনে রামহাশয়ের যোড়াট এবং একজন জামিয়ার খানি গায়ে দিয়া বাট যাইবার জন্ত বহিষ্কৃত হইলেন । তদর্শঙ্গে দেওয়ানজী কহিলেন ‘ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় আমাদের বিবেচনায় আর দিন কতক এইখানে থেকে গেলে হত। বাড়ী তো যেতেই হবে কিন্তু আপীলে কি ফল হয় সেট জেলে গেলে হতো" না ? লক্ষ্মণ তোমাকেও ঐ অনুরোধ করি।” ** ভট্টাচাৰ্য্যমহাশয় কছিলেন তাহার থাকিবার যে নাইf ৪/৫ টা একোদিষ্ট শ্রাদ্ধ উপস্থিত আছে। তিনি না গেলে সমস্তই পণ্ড হইবে। লক্ষ্মণের থাকিতে কোন আপত্তি নাই কিন্তু বাট হইতে আসিবার সময় তাহার মাতার পীড়া দেখিয়া আসিয়াছে। বিশেষ গতরাত্রে একটা দুঃস্বপ্ন দেখিয়া তাহার মনটা নিতান্ত খারাপ হইয়াছে । তাহার. না গেলেই নয়। যদি তাহার থাকা নিতান্তই প্রয়োজন হয় তবে একবার বাটতে সকলকে না দেখিয়া আসিয়া থাকিতে পারে না। উক্ত কথোপকথন প্রাঙ্গণে দাড়াইয়াই হইল। কথোপকথন শেষ হইলে পুনরায় দুই জনকে যাইতে উদ্যত দেখিয়া দেওয়ানজী কহিলেন “দি নিতান্তই যাওয়া মত হয়ে থাকে তবে যোড়াট আর জামিয়ারখানি রেখে যাবেন । শুনিয়া ভট্টাচাৰ্যমহাশয় বিশিত হইয়া কহিলেন “সে কি ? আপনি যে আমাকে অবাক করেন ? একথা কি আপনি বোলছেন, ন রায় মহাশয়ের কথা মত বোলছেন ?”