পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• সপ্তন্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ । ২৪৩ ব্যারিস্টার সাহেব নুতন সাহেৰি ঘরকর শুরু করিয়া যৎপরোনাস্তি কষ্টে পড়িলেন। গ্রীষ্মকালে এক দিবস সন্ধ্যার সময় থানা থাইতে গিয়া দেখিলেন থানসাম পান্ত ভাতওঠাও মাংস টেবেলে দিয়াছে। দেখিয়া গোষ সাহেব রাগ করিয়া বলিলেন “একি ?” থানসামা কহিল “বন্দ যখন কমিসনার সাহেবের কাছে ছিল, গরমি কালে সাহেব রোজ রোজ থানার সময় পাস্তাভাত ও ঠাণ্ডা মাংস খেতেন। মনে কোরে ছিলাম হজুর ও তাই থাবেন। এ গরম মুলুকে হজুর লোকের জন্য ঠাণ্ডাই ভাল।” গোষ সাহেবের আর রাগ করিবার যে রহিল না । কমিসনার যাহা থান তাহ যদি তিনি না খান তাহা হইলে তো তাহার জাতিও গেল সাহেবিও গেল। সুতরাং চুপ করিয়া থাকিলেন। খানসামার আয়েসের সীমা রহিল না। একবেলা রন্ধন করিয়া বেলা খাওয়ায়, ফুৰ্ত্তি করিয়া বেড়ায় আর রাত্রে খানা দিবার সময় হাসিয়া বঁাচে না । একদিবস গোষ সাহেব দেখিলেন তাহার একটী কোটের এক জায়গার সেলাই খুলিয়া গিয়াছে। পাছে পরিধান করিলে আরও বেশী খুলিয়া যায় এজন্য সে কোটট মেরামত করিতে দিবেন বলিয়া আর একটী কোট পরিয়াছেন। বেয়ারা দেখিবামাত্র সেই কোটটা পরিধান করিয়া গোষ সাহেবের নিকট আসিল । গোষ্ণ সাহেব গোসা করিয়া কহিলেন “আমার কোট পরেছ কেন ?” - - - বেয়ারা। হজুর বাৰা যব কালেক্টর সাহেবক পাস খ্ৰী তৰ এয়স টুটা ফাটা কাপড় বরাবর মিলত থা।” ।