পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনচষ্টারিংশ পরিচ্ছেদ । 織4) মনোরমার বাটিতে মাথায় লাল পাগড়ী গালে চৌগোপ্পা যমদূতের ন্যায় একব্যক্তি আসিয়া গ্রাঙ্গন হইতে মনোরম ব্যাওয়া, মনোরমা ব্যাওয়া’ বলিয়া ডাকিতে আরম্ভ করিল। গৃহের জানালার ভিতর দিয়া মনোরম পেয়াদা দেখিয়া অত্যন্ত ভয় পাইলেন। বাট একাকিনী থাকিতেন বলিয়া মনোরমাকে অনেকের সহিত কথা কহিতে হইত। অদ্যও বোধ হয় বাহির হইয়া আসিয়া কথা কহিতেন, কিন্তু দুটা কারণ বশতঃ তাহা করিলেন না। প্রথমতঃ তাহাকে কেহ কথন বেওয়া বলিয়া ডাকে নাই, সুতরাং বেওয়া বলিয়া অভিহিত হওয়ায় অত্যন্ত লজ্জিত হইলেন । দ্বিতীয়তঃ পেয়াদ পাছে উহাকে ধরিয়া লইয়া যায় এই ভাবিয়া তিনি কুটিরের দ্বার বন্ধ করিলেন। পেয়াদ জানিতে পারিল কুটীরের অভ্যস্তরে লোক আছে। তখন কহিল “তাই হলেই হলো । তুমি বাহিরে এস আর না এস সে তোমার ইচ্ছা । আমি যে জন্যে এসেছিলাম তা হয়েছে ” এই বলিয়া সমনখানি তাহার দপ্তর হইতে বাহির করিয়া কুটীরের একথুটার গায়ে ৰাধিয়া দিয়া গেল। কহিল “ এই সাক্ষ্য দিবার সমন বর্ণধিয়া গেলাম’ এই বলিয়া পেয়াদ চলিয়া গেল। তখন মনোরম। বাহিরে জাসিয়া দেখিলেন এক খণ্ড কাগজ খুটাঁর গায়ে ঝুলিতেছে। মনোরম কাগজখানি লইয়া পড়িয়া দেখিলেন। সমস্তই প্রায় ছাপার হরপ, অতি অল্পই হাতের লেখা । ছাপা অবলীলাক্রমে পড়িলেন । কিন্তু হস্তাক্ষর ভাল পড়িতে পারি লেন না। কিন্তু ভালই পড়ন আয় মনাই পড়ুন যুৰিঙে