পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনচত্বাৱিংশ পরিচ্ছেদ। ২৫৭ মনোরম কহিলেন, “আমার আর কে আছে যে এখানে আসবে? এক মঙ্গল? সে যা শুনে যায় তা তার মনে থাকে না ?” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের স্ত্রী মনোরমার কথা শুনিয়া যথার্থই ব্যথিত হইলেন, কছিলেন “ভদ্র লোকের বউ থিকে আদালতে নিয়ে সাক্ষী দেওয়ান তো কথন দেখিও নাই, শুনিও নাই, এর পরে যে কি হবে তা বলা যায় না। আজ তোমাকে সাক্ষী মেনেছে, কাল আমাকে মানবে, আর পাঁচ দিন পরে রায় মহাশয়ের পরিবারকে মানবে। এ পথ রায় মহাশয় নিজে দেখাচ্ছেন, একি তার উচিত ?” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের স্ত্রী জানিতেন না যে ইহার মূলীভূত কর্তা তাহারি নিজের স্বামী । এইরূপ কথায় বার্তায় অনেক রাত কাটিয়া গেল, অবশেষে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বাটী প্রত্যাগত হইলেন। অমনি মনোরম সে কামরা ত্যাগ করিয়া পাশ্বের কামরায় প্রবেশ করিলেন । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় অদ্য সংযম করিয়াছেন, কল্য রায় মহাশয়ের বাটী শিব স্বস্ত্যয়ন করিতে হইবেক। প্রাতে র্তাহার হবিষ্যোপযোগী দ্রব্যাদি রায় মহাশয়ের বাট হইতে আসিয়াছে। কিন্তু ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় যে মধ্যাহ্লে দিব্য করিয়া মাছ ভাত আহার করিয়াছেন ও রাত্রেও তাই করিবেন তাহা আর কে জানিবে। অদ্য বাট মাসিয়া একটু বিশ্রাম করিয়া কহিলেন “রাত্রি অধিক হয়েছে আমার ভাত দাও।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের স্ত্রী এই কথা শুনিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের গা টিপিলেন অর্থাৎ চুপ করিতে বলিলেন। ভট্টাচাৰ্য মহাশয় তাহার ইঙ্গিতের মৰ্ম্ম বুঝিতে পারিলেন না। ভাবিলেন ব্রাহ্মণী তাহার সঙ্গে পরিহাস