পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ । १{tè মনোরমার নাম গুনিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের লজ্জা গিয়া রাগ হইল। ভাবিলেন সে একথা প্রকাশ করিয়া দিলে অবশুই সে হিংসার বশবৰ্ত্তী হইয়া এরূপ কহিতেছে ইহা বলিলেই সকলে বিশ্বাস করিবে। এই ভাবনা মনোমধ্যে উদিত হওয়ায় তাহার লজ্জা গেল। রাগ হইল, তাহার কারণ এই যে লক্ষ্মণ র্তাহাদিগের নিজ ' ঘরের মন্ত্রণা বিশ্বাসঘাতকতা পূৰ্ব্বক প্রকাশ করিয়া দিয়াছে। কিন্তু লক্ষ্মণ উপস্থিত না থাকায় সে রাগ মনোরমার উপর ব্যয় করিলেন, কহিলেন “ও পাপীয়সীটাকে ভূমি স্থান দিয়েছ। অম্নি কুচরিত্র কতকগুলা লোকের দ্বারায় গ্রামটা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। ওই আর ওর ভাই এরা দুজনে একত্রে হয়ে লালবিহারী বাবুর কান ভারি করে দিয়ে রায় মহাশয়ের মেয়াদ দেওয়ালে। এমন রায় মহাশয়! যার স্মরণ লয়ে কত চোর ডাকাৎ বাটপাড় রক্ষা পায়, যার প্রতাপে বাঘে ছাগলে এক ঘাটে জল ঘায়, তাকে কিনা একজন সামান্ত তাতি প্রহার করে ? এখনও তিন বৎসর হয় নাই একজন লোক আপন স্ত্রীকে খুন কোরে তাহার স্মরণ লওয়ায় সে ফাসি থেকে বেঁচে গেল, সেই রায় মহাশয় কিনা একটা তাতিকে এক ঘ মেরে জেলে যান। তার কি বুদ্ধি নাই ? না অর্থ নাই ? সকলি আছে। তিনি মোকৰ্দমার যোগাড় কোত্তেও ক্রট করেন নাই। তবে তিনি হারেন সে কেবল ওই কুচরিত্র স্ত্রীলোক ও ওর ভায়ের জন্য। “ও আমার এখানে এসেছে কেন ? যাক সে তাত্তি ৰাড়ী যাক। ও ভদ্র লোকের বাড়ীতে এলো কেন ? আমার দ্বারায় ওর কোন উপকার হবে না।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের কথা শুনিয়া তাহার স্ত্রী হতবুদ্ধির ন্যায়