পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮ ” ছরিযে বিষাদ । তাছাদের কৃপায় তাহার পড়া শুনা হইতেছে, বিশেষ ইতিপূৰ্ব্বে তিনি মনোরমাকে দেখিবার জন্য অত্যন্ত ব্যগ্র হইয়াছিলেন, এই সমস্ত ভাবিয়া কহিল "আচ্ছা সাক্ষ্য দেওয়া হলেই তাকে এই খানে আনবো।” এই কথার পর বিধুমুখী আপনার স্বামীর নিকট গেলেন ও নলিন বহিৰ্ব্বাটীতে চলিয়া আসিল । - রাম সিংহকে জেলে দিয়া লালবিহারী বাবুর সমস্ত কারণ দূরীভূত হইয়াছিল। এক্ষণে বিধুমুখীর নিকট নলিনের আগমন বার্তা শ্রবণ করিয়া পুনরায় তাহার কিঞ্চিৎ চিত্ত বৈকল্য হইল, ভাবিলেন হে পরমেশ্বর আমার অদৃষ্টে কি আর মুখ নাই ? চিরকালই কি আমি মনোকষ্টে কাল যাপন কোরবো ?” কিন্তু এবারকার কষ্ট তত অধিক হইবে না। তাহার কারণ নলিন ছু তিন দিন বই থাকিবে না, বিশেষ তাহার ভগ্নী আসিতেছে তাহাকে দেখিতে পাইবেন এবং নলিনের দরুণ তাহার যে সমস্ত কষ্ট হইয়াছে তাহার প্রতিশোধ লইতে চেষ্টা করিবেন। অনন্তর বিধুমুখীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কছিলেন যখনি সে আসিয়া পৌছিবে তখনিই তাহার মোকৰ্দমা লইবেন, আর মোকৰ্দমার পর বিধুমুখী অনায়াসে তাহাকে নিজ বাটা আনয়ন করিতে বিধুমুখী স্বামীর কথা শুনিয়া প্রফুল্লমৰে আসিয়া নলিনকে কহিলেন। নলিন যার পর নাই উপকৃত হইল এবং বিধুমুখীর সম্মুখে সাপ্লঙ্গে প্রণাম করিয়া কাছারি চলিয়া গেল। কাছারির বহুতর লোকের সহিত নলিনের আলাপ ছিল।