পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিচম্বারিংশ পরিচ্ছেদ । Raసి কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। অতঃপর অত্যন্ত অসম্মতিক্রমে তাহাকে থাকিতে হইল। নলিনের কোন মতে থাকিবার যে নাই, সুতরাং তিনি সেই দিবসেই চলিয়া গেলেন। যাইবার সময় মনোরমাকে কহিয়া গেলেন “দিদি তুমি এক দিবস থাকতে স্বীকার কোরে ভালই করেছ। দেখ বাবুন্না আমাকে কত আদর করেন, আমার লেখা পড়ার খরচ দেন ; এরূপ অবস্থায় তুমি তাঁহাদের বারম্বার অনুরোধ ফেলে গেলে ভাল হ’ত না । বিশেষ এ বাড়ী আমাদের নিজের বাড়ী মনে ক’রলেই হয়। আমাকে বাবু ও বাবুর স্ত্রী এত আদর করেন বোধ হয় উহাদের আপনার সন্তান হলেও তার অধিক কোরতেন না। কিন্তু অধিক দেরি কোরো না। যত শীঘ্র পার বাট ষেও।” নলিন সরলান্তঃকরণে এই কথা গুলি কহিল, কিন্তু ইহাতে যে বিষময় ফল ফলিল তাহ পাঠকবর্গ ক্রমে জানিতে পারিবেন। রোগী যত নিদ্রালাভের জন্ত শয্যায় এ পিট ও পিট করে ততই তাহার নিদ্রার ব্যাঘাৎ হয়। সেইরূপ লালবিহারী বাৰু এ কএক দিবস যতই মনোরমার মূর্ত হৃদয় হইতে দূরীকৃত করিতে চেষ্টা করিতেছিলেন ততই সেই লাবণ্যময় মূৰ্ত্তা তাহার চিত্তে বদ্ধমূল হইতে লাগিল। ক্ষুদ্র বৃক্ষ অনায়াসেই উৎপাটন করা যাইতে পারে, কিন্তু সেই বৃক্ষ বড় হইলে ও তাহার মূলশ্রেণী চতুদিগে বিস্তৃত হইলে তাহাকে উৎপাটন করা কঠিন হয়। লালবিহারী বাবু মনে করিলে মনোরমাকে মোকৰ্দমার দিবসই পাঠাই দিলে অনায়াসেই পারিতেন, কিন্তু তাই না করিয়া মনোরমাকে নিজ বাট রাখিয়া দিলেন। ইহার ফল এই হইল