পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিচারিংশ পরিচ্ছেদ। Հե՛չ তদবধি লালবিহারী বাবু আর কাছাকে নিমন্ত্রণ করা বন্ধ করিয়া দিয়াছেন। সুতরাং বিধুমুখী আর অপর স্ত্রীলোক দেখিতে পান না । তিনি একরূপ কারাবন্ধ বিহঙ্গমের ন্যায় আছেন। আপাতত মনোরমাকে বাট রাখিতে র্তাহার অনিচ্ছা দূরে যাউক, তাহারি বাগ্রতাই অধিক। বিধুমুখী ইহাতে বড় । সন্তুষ্ট, বিশেষ বিধুমুখী মনোরমাকে অকৃত্রিম স্নেহ করিতেন। সুতরাং দিব্য দিয়া, গলায় বস্ত্ৰ দিয়া মনোরমাকে রাখেন। গলায় কাপড় দেওয়া বিধুমুখীর "ব্রহ্ম অস্ত্ৰ”। মনোরম দরিদ্র, তাহার ভ্রাতা বিধুমুখীর দাস, এখনও তাহার রূপায় তাহার পড়া শুনা ও উদরপূর্ণ হইতেছে। সুতরাং বিধুমুখী গলায় বস্ত্র দিলে র্তাহার আর কোন কথাই থাকে না তাহাকে থাকিতেই হয়। লালবিহারী বাবু গলবস্ত্রাদির কথা কিছুই জানেন না। ভাবিলেন প্রথম প্রথম যাইতে বড় ব্যগ্র ছিল, এখন যায় না কেন ? পূৰ্বেই বলা হইয়াছে তাহার চেহারা বড় সুন্দর ছিল। এজন্য ভাবিলেন মনোরম তাহার সৌন্দৰ্য্য ফাঁদে পতিত । হইয়াছে। তাহ না হইলে কেন আর যাইবার কথা কয় না। * এইরূপ সংস্কার আর দু তিন দিবসের মধ্যে তাহার মনে বদ্ধমূল হইল। এক দিবস বিধুমুখী সন্তানাদিকে নিদ্রিত করিবার জন্য আপনার গৃহে তাহাদিগকে লইয়া শয়ন করিয়া আছেন এবং উপকথা,কহিতেছেন। বালক বালিকার নিদ্রিত হইল ও সেই সঙ্গে সঙ্গেই নিজেই নিদ্রিত হইলেন। অধিক রাত্তি হইল কিন্তু আহারের ডাক হয় না, ইহার কারণ কি জানিবার জন্য লালবিহারী বাবু নিজের গৃহে গমন করিলেন ; দেখিলেন