পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ । షిపాt ছোট লাট সাহেবের দ্বারে বসিয়া থাকিত যে একবার তাহার সহিত দেখা হইলে মনের কথা কহিবে। ছোট লাট সাহেব যখন বাহির হন এত লোক জন অগ্র পশ্চাতে গাড়ীতে ঘোড়াতে যায় এবং তাহাদিগের বেশভূষা এতই এক রকম যে কে লাট সাহেব তাহা কিছুই টের পায় না। যাহাকে দেখিতে পায় হুজুর হুজুর বলিয়া চীৎকার করে কিন্তু সে শব্দের অনুরোধে কেহ গাড়ী বা ঘোড়া কিছুই থামায় না। এদিকে নকড়ীর ফাঁসি হইবার দিবস নিকট হইয়া আসিল । অদ্যই ছোট লাট সাহেবকে নকড়ীর মাতার প্রার্থনা না জানাইলে নয়। নকড়ীর মাতা নিরুপায় হইয়া যে রাস্ত দিয়া লাট সাহেবের গাড়ী যায় সেই রাস্তায় শয়ন করিয়া রহিল । লাটসাহেব ইতিপূৰ্ব্বে বাহিরে যাইবার সময় নকড়ীর মাতাকে ও মঙ্গলকে অনেকবার দেখিয়াছেন কিন্তু ভিখারী কিম্বা সামান্য লোক মনে করিয়া তাহদের বিষয়ে কোন কথাই জিজ্ঞাসা করেন নাই। অদ্য যেমন দ্রুতবেগে অশ্ব চালিত হইতেছিল কোচবান সম্মুখে নকড়ীর মাতাকে শায়িত দেখিয়া অশ্বের গতি থামাইল। লাট সাহেব বিরক্ত হইয়া অশ্বের গতি রোধের কারণ জিজ্ঞাসা করিল। কোচবান কহিল সম্মুখে একটা স্ত্রীলোক শায়িত আছে। অশ্ব চালাইলে তাহার প্রাণ বধ হইবার আশস্বায় চালাইতে পারে নাই। লাট সাহেব গাড়ীর জানাল দিয়া দেখিলেন যথার্থই একটা স্ত্রীলোক রাস্তায় গুইয়া আছে। আরও চিনিলেন যে সেই স্ত্রীলোকটাকে অনেক দিন তাহার দ্বারের দুই পার্থে বসিয়া থাকিতে দেখিয়াছেন। এই নিমিত্ত তিনি মনে