পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७९ হরিষে বিষাদ । আমার বাছার হাতে যদি স্বপ্নেও কিছু দেয়। বাছ আমার কেদে কেঁদে বেড়ায় তবু একবার ফিরে চায় না। ডাব ডাব করে কাঁদছে তা আমি বল্লাম যা তোর মনু মাসীর বাড়ী থেকে খেয়ে আয়। তা আবার এমন লজ্জা যে কারও কাছে কিছু চেয়ে খেতে পূরেন না। এত যে ভাল মন জিনিস আসে তা একবার বা সেদিকে চেয়ে দেখে ? . . মনোরমা এই কথা শুনিয়া কুটীরের মধ্য হইতে একটা ডাব আনিয়া দিয়া কহিলেন “এইটা পেচোকে দিও।” রাইকিশোরী। দিদি তুমি চিরজীবী হয়ে থাক। আমার মাথায় যত চুল এত প্রমাই তোমার হোক। মনোরমা। আর ও আশীৰ্ব্বাদ করে না। বাচবার আর সাধ নাই। এখন মলেই বাচি। । . . দিগম্বরী। মরণের কথা শুনে মনে হলো, ও পাড়ার সরল বুঝি এবার রক্ষা পায় না। : মনোরম। সে কি ? তার কি হয়েছে ? *দিগম্বরী। কি হয়েছে তা জানি নে। আমি সে বাড়ী আর থাকিও না যাইও না। শঙ্করী দিগম্বরীর দিকে তাকাইয়া কছিলেন “শাশুড়ী ননদ বউ ঝি নিয়ে এতকাল ঘরকরা কোলাম কখন কুরুর সঙ্গে একটা উচু কথা হয়নি। কিন্তু প্রমদা আর সরলা এদের দু জায়ের যে কি অশুভক্ষণে দেখা যে একটা দিনও ৰিনি ঝগড়ায় কাটাতে পাল্লে না ।” : - দিগম্বরী। ঘরকন্না করেছ বেশ করেছ, তা আমার দিকে