পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ। ፳N» প্রতিজ্ঞা করিলেন “আজ যদি টাকা নাও পাই, তবু ঘট বাটী বদক দিয়া যদি তোর টাকা না দি তবে আমি ব্রাহ্মণের সন্তান নই।” নকড়ী প্রতিজ্ঞা শুনিয়া ম্ৰিয়মান ও তটস্থ হইয়া দঁাড়াইয়া রহিল। প্রত্যুষে ব্রাহ্মণ রাগ করিয়াছে, ভয়ে নকড়ীর শরীর কম্পিত হইতে লাগিল। রায় মহাশয় প্রতিজ্ঞ করিয়া চলিয়া গেলেন, নকড়াও ভীত চিত্তে তথা হইতে প্রস্থান করিল। বাবু মুখ হাত ধুইয়া, প্রাতঃসন্ধা সমাপনানন্তর কাছারি আসিয়া বসিলেন। কিন্তু নকড়ীকে না দেখিতে পাইয়া একজন পেয়াদাকে তাহাকে ধরিয়া আনিবার জন্য প্রেরণ করিলেন । , নকড়ী পেয়াদ আসিতেছে দূর হইতে দেখিতে পাইয়া নিজের ঘরে দ্বার বন্ধ করিয়া রহিল। মাতাকে কহিল যেন সে কোথায় পেয়াদাকে না বলিয়া দেয়। পেয়াদা আসিয়া নকড়ীর মাতার নিকট জিজ্ঞাসা করিল “নকড়া কোথায়।” কিন্তু নকড়ীর মাতা না বলিতে পারার ফিরিয়া গেল। পেয়াদার কথা শুনিয়া বাবু রাগত হইয়া আর পাঁচ জন পেয়াদ পাঠাইলেন। হুকুম দিলেন যদি নকড়ী বাড়ী না থাকে, তাহার, স্ত্রী ও মাতাকে বন্ধন করিয়া আনে। পেয়াদার আসিয়া নকড়ীর মাতার নিকট অনুসন্ধান করিয়া নকড়ী কোথায় আছে জানিতে না পারিয়া নকঞ্জীর মাতাকে কহিল “তোমাকে ও বউকে ধরিয়া লইয়া যাইব ।” এই বলিয়া নকড়ীর মাতার হস্ত ধরিকে গেল। নকড়ী নিজ গৃহ হইতে দেখিয়া রাগে--জলন্ত,অগ্নির ন্যায় ৰাহির হইয়া আলিয়া কহিল “যত বড় মুখ তৃত বড় কথা ? চল দেখি তোরা আমাকে