পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sobro হলুদ পোড়া ওস্তাদ মাথা নাড়িয়া বলিল, “না”। বেশ বুঝা যায়, ধৈৰ্য্য আর সংযমের তলে চাপা পড়িয়া ভিতরের উত্তেজনা ওস্তাদকে থারথার করিয়া কঁপাইয়া দিতেছে, দাম আটকানো উদ্বেগে নিঃশ্বাস পড়িতেছে ছোট ছোট । ক’দিন কাজল পরা হয় নাই, তবু কাজলের একটু আভাস ওস্তাদের চোখে পাওয়া যায়। আশা, হতাশা, ঈৰ্ষা, উদারতা, রাগ, দুঃখ, অভিমান, ক্ষমা ও ত্যাগের ভাব মিশিয়া তার মুখে প্ৰলোপের মত মাখা হইয়া গিয়াছে, আর চোখ দুটি , যেন পলকে পলকে বদল করিয়া ওই ভাবগুলি এক একটি বাছিয়া বাছিয়া, স্পষ্ট করিয়া তুলিতেছে। সুভদ্ৰা চিন্তিত হইয়া বলিল, “তুমি সত্যি জালালে ওস্তাদ। যাব না। নাকি ?” একটু ভাবিয়া সে আবার বলিল, “না পালাই, তোমার সঙ্গে ও দ্রা चांद्र दानंद न !” ওস্তাদের চোখের ঔৎসুক্য নিভিয়া গেল, আটকানো নিঃশ্বাস বাহির হইয়া আসিল। বাহিরের আলো, আরেকটু স্পষ্ট হইয়াছে। সুভদ্রা চলিয়া গেল, ওস্তাদ আর একটি কথাও বলিল না । শেষ চেষ্টা কাজে লাগিল না, আর কি বলিবার আছে ? এখন আপনা হইতে ফাঁদটি খসিয়া গিয়াছে ভাবিয়া খুন্সী হওয়ার চেষ্টা করা ছাড়া আর কিছুই করিবার নাই। কিন্তু সে চেষ্টা করিতে গিয়া ওস্তাদ দেখিল, ফাদ খসিয়া গেলেও ফাঁদে পড়া বেকুব প্রাণীর মতই ছটফটু না কুরা অসম্ভব।