পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRR হলুদ পোড়া ? “আমি তোমার পিসীমা নাই।” সুবালা প্ৰতিবাদ জানাল। ‘পিসীমাই হন আপনি।” রমেন মৃদু মৃদু হাসছে। “আমি তোমার এই পিসে মশায়ের বোন-ছোট বোন।' সুবালা দিবাকর বাবুকে দেখিয়ে দিল। “তোমার পিসীমা রান্নাঘরে eta o মনে মনে সুবালা ভীষণ চটে গেল। কোথাকার হনুমান ছেলে । দিবাকর বাবুর বয়স ষাট হতে চলল, রমেনের পিসীমার বয়স চল্লিশ৷ পেরিয়েছে, আর তাকে সে মনে করে বসল। পিসীমা, বয়স তার এখনো সাতাশ হয় নি ! চোখে না দেখে থাকলেও এটুকু তো তার জানা আছে। যে তার পিসীমার বড় ছেলেটার একটা মেয়ে হয়েছে সম্প্রতি, তার পিসীমার এখন ঠাকুরমা পদবী ! . রমেন বলল, “এই পিসীমার সম্পর্কে আপনাকে পিসীমা বলিনি। নন্দ পিসেমশায়ের সম্পর্কে আপনি পিসীম হন।” শুনে কেবল সুবালা নয়, উপস্থিত সকলেই থ বনে গেল। সকলের মনে পড়ল, সত্য সত্যই রমেনের সঙ্গে সুবালার দু’দিক থেকে সম্পর্ক আছে, সে তার এক পিসেমশায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। দিবাকর অনেক অনেক দূর সম্পর্কের পিসেমশায়, কিন্তু প্ৰথমে রমেনের বাবার মাসতুতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন বলে সুবালার স্বামী নন্দগোপাল তার খাটি মাসতুতো পিসেমশায়। ছেলেটা। তবে ভুল করেনি, সুবালাকে জন্মে কখনো চােখে না দেখে থাকলেও সে যে কে মনে মনে আন্দাজ করে। তার সঙ্গে ডবল সম্পর্কের মধ্যে কোনটা বেশী লাগসই তাও স্থির করে ফেলেছে। এতো যেমন তেমন ছেলে নয়! ইতিমধ্যে দিবাকর বাবুর স্ত্রী এসে পড়েছিলেন। মানুষটা তিনি, রোগা এবং লম্বা, মুখখানা বদমেজাজী। চশমার ভেতর দিয়ে রমেনকে