পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ांगलांशेष একুশ বছর বয়েসের সময় সুনীতি নামে একটি প্রায় একুশ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে প্ৰমথের কয়েকমাসের জন্য খুব ভালবাসা হয়। সেই তার প্রথম বাস্তব ভালবাসা, সুতরাং, ব্যাপারটা তাতৃপক্ষে একটু প্ৰচণ্ডই হইয়াছিল। বাকী জীবনটা সুনীতিকে ভালবার্সিয়া কুটাইয়া দিতে পারিলে নিজেকে সে ধন্য জ্ঞান করিত সন্দেহ নাই, কিন্তু দুঃখের বিষয় সুনীতি নিজের বেলা পাতলা একগাছি চুল আর প্রমথের বেলা জাহাজ-বাঁধা কাছি দিয়া পরস্পরের বাঁধাৰ্বাধির ব্যবস্থা করায় তৃতীয় এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটামাত্র বঁাধনটা গিয়াছিলী ছিাড়িয়া। প্রমথ বীভৎস রকম বিস্মিত হইয়া লক্ষ্য করিয়া দেখিয়াছিল যে সুনীতির জীবনে । এই তৃতীয় ব্যক্তিটির আবির্ভাব যেন তাবই আবির্ভাবের পুনরাভিনয় এবং “রাধাবাধির ব্যবস্থাটাও অবিকল একই রকম। তৃতীয় ব্যক্তিটির প্ৰতি প্রমথ তাই হিংসার লেশটুকুও অনুভব করে নাই। তার বরং মনে হইয়াছিল যে কয়েকমাস পরে নিজের ভালবাসার দাড়িতে বেচারীর যে ফাঁসি লাগিবে সে জন্য ওকে তার মায়া করাই উচিত। - এখন, এধরণের দু’চারটা ছেলেমেয়ে সংসারে থাকিবেই একঘেয়ে জীবনযাপনের হাত হইতে রেহাই পাওয়ার জন্য, ছুটছাটায় বেড়াইতে বাওয়ার মত মাঝে মাঝে জীবনে যারা প্রেমের বৈচিত্ৰ্য আনে।