পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতেম্ তায়ি । ) { আকাশে উঠাইলেন, আমার নাম বহরাম, আপনি আমার এ নাম পরিবর্তন করিয়া এমন একটি নাম রাখুন, যাঁহাতে আমার মান বৃদ্ধি হয়, গার্দ নৃশাহ হোসনৃবাক্ষর মাছরুশাহ নাম রাখিয়া বলিলেন, হে পুত্র! ঐ প্রস্থির দূর, অতএব কৰ্ত্তব্য ষে আমার নগরের নিকটে এক নগর নিৰ্ম্মাণ কর, অামি ঐ নগরের নাম শাহ আবাদ রাখিলাম হোসম্বাই রীতিমত প্রণাম করির বলিলেন, রাজার পরমায়ু বৃদ্ধি হউক, আমার ঐ প্রান্তর মনোনীত হইয়াছে, আর রাজার নগরের নিকটে নগর নির্মাণ করা উচিত নয়, প্রার্থনীয় যে স্থপতিদিগের প্রতি অনুমতি করুন, তাহারা নগর নির্মাণ করিতে মনোযোগী হয়। গোর্দ নৃশাঙ্ক স্থপতিদিগকে অনুমতি করিলেন এবং হোসম্বানুকে সম্মানের সহিত বিদায় দিয়া বলিলেন, হে পুত্র পুনৰ্ব্বার কখন আসিবে ? ত্বদীয় দর্শনে যেন আমি নিরাশ না হই, হেসিন্‌বানু প্ৰণিপাত করিয়া নিবেদন করিলেন, প্রতিমাসে একবার করিয়া দর্শন পূৰ্ব্বক চরিতার্থ হইব । এই সকল কথোপকথনশন্তে হোসনবানু আনন্দিত হইয়া গমন করিলেন । পরে সেই প্রান্তরে যাইয়া মওম্মর স্থপতিকে নগর নিৰ্ম্মাণ করিতে অনুমতি করার মওম্মর নগরীয় অট্টালিকা সকল নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়া দিবারাত্রি ত্বর করিতে লাগিল । হোসম্বানু প্রতিমাসে রাজনিকটে গমনাগমন করিতেন, প্রতিবারেই রাজ। তাহার প্রতি অত্যন্ত অনুগ্রহ করি তেন । পরে দুই বৎসর গতে এক প্রকাণ্ড নগর নির্মাণ হওয়ায় তাহার নাম শাহজাবাদ রাখিলেন এবং হোসনবানু নগর নিৰ্ম্মাণকারিদিগকে অনেক পারিতোষিক দিলেন ।