విe হাতেম্ তায়ি । এবং সেই বাটার দ্বার এই কুপের মধ্যে আছে, যদি তুমি সেখানে উপস্থিত হইতে চাও, তবে এই কুপে মগ্ন হও ।” পরে হাতেম্ কুপের নিকটে যাইয় তাহার ফিতরে দৃষ্টিপাতপূৰ্ব্বক দেখিলেন যে, তাই অতিশয় ভয়ঙ্কর, এবং তাহাতে অনেক জল আছে, তৎপরে জগদীশ্বরের প্রতি নির্ভর করিয়৷ সেই কুপের মধ্যে কম্প দিলেন । যখন হাভূেমের চরণতল ভূমিতে সংলগ্ন হইল, তখন তিনি-চক্ষু-উন্মীলন করিয়া একটি উত্তম উদ্যান দেখিলেন, তাহাতে এৰূপ বৃহৎ বৃহৎ অট্টtলক সকল ছিল যে, তাহাদিগের মস্তক আকাশ পর্য্যন্ত উঠিয়াছিল । তিনি তথায় অনেক অনেক আশ্চর্য্য ব্যাপার দেখিয়া আশ্চর্য্যাম্বিত হইলেন, এবং নির্ভয়ে তাহার ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখলেন যে, একটি বৃহৎ অট্টালিকা রহিয়াছে, এবং তাহতে উত্তম শয্যার উপরে রত্নজড়িত সিংহাসন পাতিত রহিয়াছে, আর একটি চন্দ্রমুখী সুন্দরী সেই সিংহাসনে বসিয়াছিলেন, আর সুন্দরী দাসীগণ কৃতাঞ্জলি হইয়া ঐ সিংহাসনের সম্মুখে দাড়াইয় ছিল; অন্য আর একটি মিষ্টভাষিণী সুন্দরী পরী স্বর্ণের চৌকীর উপরে বসিয়াছিল, হাতেম্ এই সকল দেখিয়া সন্তুষ্ট মনে তাহাদিগের নিকটে গেলেন, এবং ঐসিংহাসনবাসিনী মলকার প্রতি দৃষ্টিপাত-পূর্বক মুৰ্ছিত হুইয়। ভূতলে পড়িলেন । যে সুন্দরী চৌকীর উপরে বসিয়াছিল, সে গাত্রে থান-পূৰ্ব্বক গোলাৰূপাশ আনিম্ন হাতেমের মুখে গোলাব সেচন করিতে লাগিল। পরে হাতেমের চেতন হইলে সেই সুন্দরী পরী চৌকীর উপরে বসিলু । ছাতে্যু দাড়াইয়া রছিলেন, এবং সেই পরী জিজ্ঞাসা করিল হে যুবক : এখানে আসিতে কাহারো সাধ্য নাই, তুমি কি প্রকারে এখানে জালির উপস্থিত হইলে ? আর তুমি কোখ হইতে অসিতেছ?
