পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(“ о হাতেম্ তারি। পরে তিনি উঠিয়া ষে দিক্ হইতে শব্দ আসিতেছিল, সেই দিকে গমন করিলেন। সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, এক জন যুব বসিয়া আছে, তাহার চক্ষু রক্তবর্ণ, গগুদেশ ব্যাপিয়া জল পড়িতছে, আর শোকস্থচক “হায়! ” এই শব্দ করিয়া কবিতা পাঠ করিতেছে । , কোথা যাই ক'কে বলি ক্রমদন কারণ ! সম্মুখে হয়েছে মম বিপদ পতন । হাতেম্ বলিলেন হে বন্ধো ! তোমার উপরে এমন কি দুঃখ পড়িয়াছে যে তুমি হায় এবং চীৎকার করিতেছ? সে যুবা হাতেমৃকে দেখিয় বলিল হে ভাই ! কি বলিব ! বলিবার নহে শ্রবণ করিলে দুঃখ বৃদ্ধি হইলে । হাতে বলিলেন, আমি ত একবার জ্ঞাত হই, এমন কি সুকঠিন ? যুবা বলিল, আমি বণিকৃ পুরুষ, এস্থান হইতে চারি ক্রোশ দূরে “ মুরি” নামে এক প্রধান নগর আছে, সেই নগরে “ হারিস্ ” নামে এক সওদাগর আছেন, তাহার একটি কন্যা অাছে, সে এমনি পরম সুন্দরী ষে তাহার ন্যায় অন্য আর কেহই নাই। আমি বাণিজ্য-দ্রব্যসহ একদিন সেই নগরে যাইয়া হারিসের বাটীর প্রান্তে উপস্থিত হইয়াছিলাম এবং হারিসের কন্য। গবাক্ষে বসিয়া কৌতুক দেখিতেছিল ; দৈবাৎ তাহার প্রতি আমার দৃষ্টি পড়িল, তাহাকে দেখিব মাত্র আমার মন আম৷ হইতে গেল এবং বুদ্ধিও মস্তক হইতে গেল। প্রেম-পাশে আবদ্ধ হইয়াসেইনগরের মনুষ্যদিগকে জিজ্ঞাসা করিলাম,একে? তাহার বলিল এ হারিস বণিকের কন্যা । পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিলাম, ইহার স্বামী অাছে কি না ? তাহার। ‘বলিল, এ অবিবাহিত, ইহার পিতা তিন প্রশ্ন রাখেন, যেব্যক্তি তাহার উত্তর দিবে তাহকে তিনি কন্যা দিবেন। আমি ব্যাকুল হইয়। হারিসের