পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হারামণি
১২৩

আম খাইতাম কাঠাল খাইতাম পঞ্চ গাভীর দুধ,
শয়ন মন্দিরে বস্যা করিতাম কৌতুক।

এও মাস গেল চিলার না পুরিল আশ
নবরঙ্গ নউলী যৈবন সামনে আষাঢ় মাস,
আষাঢ় মাসেতে চিলালো নারী গাঙে নতুন পানি।
কত সাধু বায় নৌকা উজান ভাটানী।
যার সাধু গেছে পাছে সেও ত আ’ল আগে,
মোর সাধু গেছে আগে খাইছে বনের বাঘে।

এও মাস গেল চিলার না পুরিল আশ,
নবরঙ্গ নউলী যৈবন সামনে শাঁঙন মাস।
শাওন মাসেতে ঢিলালো নারী খেতে ভাসে নাড়া,
নাড়ার উপর বস্যা ডাকে নিদারুণ কোঁড়া।
ডাক ডাকে ডাকিনীরে ডাকে তনুর হ’ল শেষ,
নিদারুণ কোঁড়ার ডাকে ছাড়বো রাজার দেশ।
যে না দেশে গেছেরে সাধু সেই না দেশে যাও,
সেই না দেশে যায়ারে কোঁড়া ডাকো ঘনঘন,
শুনিয়া কোড়ার ডাক সাধু দেশে করবি মন।

এও মাস গেল চলার না পুরিল আশ,
নবেরঙ্গ নউলী যৈবন সামনে ভাদ্দর মাস।
ভাদ্দর মাসে চিলালো নারী গাছে পাকা তাল।
মোর সাধু থাকতো দেশে খাতাম পাকা তাল।