পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

১৲

অনুষ্ঠানের নিখুত ছবি পাওয়া যায়। গাথা জাতীয় গানে অধিক লোকের প্রয়োজন। এই জন্য ইহা সমধিক প্রচার লাভ করিতে পারে নাই। প্রত্যুত গীতি কবিতা জাতীয় গানে বেশী লোক লাগে না। ভাদ্রের ভরা গাঙ্গে মাঝি নৌকার হাল ধরিয়া আপনার মনে যেমন “মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে, আমি আর বাইতে পারলাম না” গাহিতে পারে আবার বাউল ঘরের কোনেও উহা অনয়াসে গাহিতে পারে। উহার আনুষঙ্গিক কোন বাদ্যযন্ত্রের বিশেষ প্রয়োজন করে না। বাদ্য যন্ত্র হ’লেও চলে না হলেও চলে। কিন্তু গাথা জাতীয় গানে বাদ্য যন্ত্রের বিশেষ প্রয়োজন।

 আমার হাতের কাছে কোন বহি নাই, সুদূর মফঃস্বলে পড়িয়া রহিয়াছে। পৃথিবীর অন্যান্য জাতির পল্লীগান সম্বন্ধে তুলনামূলক আলোচনা করিবার একান্ত ইচ্ছা ছিল। এবারে তাহা ঘটিয়া উঠিল না বারান্তরে পারিত চেষ্টা করিয়া দেখিব।

 আমার অন্তরঙ্গ বন্ধুগণ এই গানগুলি সংগ্রহে নানা উপায়ে সাহায্য করিয়াছেন। আমি তাঁহাদের নিকট ঋণী ও কৃতজ্ঞ। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় এই সংগ্রহের জন্য দু’কথা লিখিয়া দিয়াছেন এবং শিল্পী শ্রীযুক্ত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সি-আই-ই মহোদয় এই গ্রন্থের প্রচ্ছপটের জন্য একখানি ছবি ও প্রচ্ছদ লিপি অঙ্কিত করিয়া দিয়াছেন। এই সূত্রে