পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
হারামণি

তক্তার “বা’ন” ছুটেছে,
সাধের তরণী “খোঁচে” বসেছে,[১]
কোনখানে কারিগর আছে ঠিকানা না জানি। 
গোঁসাই নলিন চাঁদ বলে,
কারিগর আছে নিরালে,
খুজলে পরে মিলবেরে অখনি।৷”

(গ)

“আজব তরী দেখে মরি গড়েছে কোন মিস্তিরী
এ তরী বোঝাই নেয় ভারী তিন বেলাতে বোঝাই করি
তবু বোঝাই হয় না ভারী মন ব্যাপারী।
তরীর ভাব দেখে সদাই আমি ভাব্যা মরি।
তরীর মাল্লা আছে ছ’জনা,
তিন জনে খাটায় তরীর কল,
আর তিন জন আছে বসে তরীর পর।
আমি যে দিক টানতে কই সে দিক টানে না
তারা সদাই করে জঞ্জাল, বাধায় গোল মাল,
কোন দিন যেন সাধের তরী শুকনাতে হয় তল।
ছয় জনাতে ঐক্য মিলে তরী যাও বইয়ে,

  1. নৌকার তক্তার সংযোগস্থল জীর্ণ হইয়া তাহার মধ্য দিয়ে নৌকায় জল প্রবেশ করে। তক্তার ‘বান’ ছুটেছে অর্থাৎ তক্তার সংযোগস্থল অকর্ম্মণ্য হইয়া গিয়াছে, কাজেই জল উঠিয়া ডুবিয়া যাইবার সম্ভাবনা।