বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о হারামণির অন্বেষণ । ঘুরিয়া বেড়ানো। আবার, সুরভি নিশ্বাস ছাড়িয়া পদ্মিনী যেভাবে নব বিভাকরের প্রতি হৃদয়দ্বার উন্মুক্ত করে, প্রাণ সেইভাবে জ্ঞানের প্রতি হৃদয়দ্বার উন্মুক্ত করে ;–জ্ঞানকে পাইলেই প্রাণ তাহার নিকটে আপনার নিগুঢ় অন্তরের কথা খোলে—বিনা বাক্যে অবগু, কেন না, জ্ঞান শ্রোতা নহে— জ্ঞান দ্রষ্টা ; জিজ্ঞাসা বটে শ্রোতা, আর, সেইজন্য তাহার সাঙ্কেতিকচিকু কৰ্ণাকৃতি (?) এইরূ? —ফলে, জ্ঞানের চক্ষে আকারইঙ্গিতই বাক্যের চূড়ান্ত। একই আস্ত্রের অঙ্কুর যেমন আঁটির দলযুগলের জোড়ের মাঝখান হইতে দুই দিকের দুই ডাল হইয়া ছট্‌কিয়া বাহির হয়, একই ভালবাসা তেমনি পুরুষপ্রকৃতির দাম্পত্যবন্ধনের মাঝখান হইতে দুইভাবের দুইতরে ভালবাসা হইয়া ছট্‌কিয়া বাহির হয়। এখন জিজ্ঞাস্ত এই যে, স্ত্রীর প্রতি পুরুষের ভালবাসাই বা কি-ভাবের ভালবাস, আর, পুরুষের প্রতি স্ত্রীর ভালবাসাই বা কিভাবের ভালবাসা ? যখন দেখিতেছি যে, স্বামী নববিবাহিতা স্ত্রীকে "তুমি আমার ভব জলধিরত্ন” বলিয়া অধিকার করে, তখন তাহাতেই বুঝিতে পারা যাইতেছে যে স্বামীর ভালবাসা অধিকার-প্রধান—স্বামিত্ব-প্রধান—পাওয়া-প্রধান ; পক্ষান্তরে, যখন দেখিতেছি যে, স্ত্রী অকথিত ভাষায় “আমি তোমারই” বলিয়া একান্ত অধীনা-ভাবে স্বামীর আশ্রয় যাঞ্জা করে, তখন তাহাতেই বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, স্ত্রীর ভালবাসা অধীনতা-প্রধান-চাওয়া-প্রধান, আর, চাওয়া মুখ খুলিতে পারে না বলিয়া লজ্জা-প্রধান। এখন দেখিতে হইবে এই যে, পাওয়া বা অধিক্রিয়া বা উপলদ্ধিক্রিয়া জ্ঞানের যেমন স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্ম, চাওয়া বা অভাবজ্ঞাপন বা ক্রন প্রাণের তেমনি স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্ম । পুরুষের প্রতি স্ত্রীর যেরূপ চাওয়া