পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাস্যকৌতুক

গোল করছে! (সভয়ে) এ যে হাঁসের মতো ক্যাঁক ক্যাঁক করে। বাবা হারু, তোকে আর আমি হাঁসের ডিম খেতে দেব না― তোর পেটের মধ্যে হাঁস ডাকছে― কী হবে।

ক্রন্দন

 হারাধন। (তাড়াতাড়ি) না মা, ও হাঁস নয়, ও তালের বড়া। হাঁস তোমাকে কে বললে। কক্‌খনো হাঁস নয়। হাঁস হতেই পারে না। আচ্ছা, বাজি রাখো, যদি তালের বড়া হয়।

 মা। তালের বড়া কি অমন করে ডাকে বাছা।

 হারাধন। তুমি একটু চুপ করে মা। তোমাদের গোলমাল শুনে পেটের ভিতর আরো বেশি করে ডাকছে।

 পিতা। বোসেদের বাড়ি আমার একটু কাজ আছে, আমি কাজ সেরেই হারুকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি।

প্রস্থান

ক্যাঁক ক্যাঁক ক্যাঁক ক্যাঁক

 মা। ওগো, এ যে ক্রমেই বাড়তে চলল! ওগো মুখুজ্যে মশাই!

মুখুজ্যে মশায়ের প্রবেশ

 মুখুজ্যে। কী গো বাছা।

 মা। বাছার আমার ক্রমেই বাড়তে লাগল। একে শিগগির― ওই যে কী বলে ওই― তোমাদের হাঁচপাতালে নিয়ে চলো।

 মুখুজ্যে। আমি তো তাই প্রথম থেকেই বলছি, হারুর বাবাই তো এতক্ষণ দেরি করিয়ে রাখলে। (হারার প্রতি) তবে চল্, ওঠ্।

 হারাধন। না দাদামশায়, আমি হাঁসপাতালে যাব না, আমার কিছু হয় নি।

 মুখুজ্যে। কিছু হয় নি বটে। তোর পেটের ডাকের চোটে

২০