পাতা:হাস্য-কৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পেটে ও পিঠে
ভুতুর বাপের প্রবেশ

 পিতা।  ওকি ও, পাত খালি যে! ওরে, খান আষ্টেক পিটে দিয়ে যা। (পিটে দেওন) বাবা, খেতে হবে। এরি মধ্যে হাত গুটোলে চলবে না!

 তিনকড়ি।  যে আজ্ঞে। (আহার)

পিসিমার প্রবেশ

 পিসি। (ভুতুর মার প্রতি) ও বউ, তিনকড়ির পাত খালি যে। হাঁ করে দাড়িয়ে দেখ্‌ চ কি? ওকে খানদশেক পিটে দাও। লজ্জা কোরাে না বাবা, ভাল করে খাও।

 তিনকড়ি।  যে আজ্ঞে।

পিসে মহাশয়ের প্রবেশ

 পিসে।  বাপু তােমার কিছু খাওয়া হলনা দেখ্ চি। দিয়ে যা দিয়ে যা, এদিকে দিয়ে যা। পাতে খান পনর পিটে দে। তােমাদের বয়েসে আমরা খেতুম হাঁসের মত। সবগুলি খেতে হবে তা বল্‌চি।

 তিনকড়ি।  যে আজ্ঞে।

দিদিমার প্রবেশ

 দিদিমা।  (ভুতুর মার প্রতি অন্তরালে) ও বউ পিটেত সব ফুরিয়ে গেছে আর একখানাও বাকি নেই।

 ভুতুবাবুর মা। কি হবে!

 দিদিমা।  কি আর হবে। (তিনকড়ির পাশে গিয়া পরিহাস করিয়া পিঠে এক কিল মারিয়া) পিটে আর খাবে।

 তিনকড়ি।  আজ্ঞে না।

 দিদিমা।  সেকি কথা। আর দুটো খাও। (আর দুটো কিল)

 তিনকড়ি।  (গাত্রোত্থান করিয়া) আজ্ঞে না আর আবশ্যক নেই।