দ্বিতীয় অধ্যায়। যুবকচরিত্র । অধ্যাপক সেখ অৰ্জুল আবুওলফরছি আমাকে কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক সঙ্গীত শ্রবণে নিষেধ ও নির্জন বাসে ইঙ্গিত করিতেন। আমি নব যৌবমের উত্তেজনায় ও ইন্দ্রিয় সুখ লালসায় গুৰুজনের অনভিমতে কখন কখন পদ সঞ্চালন করিতাম, সঙ্গীতের সভায় যাইয় সঙ্গীতের অপমোদ সম্ভোগ করিতামণ একদা রজনীতে এক স্থানে সঙ্গীত শ্রবণ করিতে যাই, সেখানে এক অদ্ভূত গাথক উপস্থিত ছিল । তাছার গানের বিকট স্বরে শরীরের শিরা সকল যেন ছিন্ন হইয়। যাইতেছিল। তাহার সাঙ্গীত সঙ্গীত নয়, যেন পিতৃ বিয়োগের ক্ৰন্দন। শ্রোতৃবর্গ কখন কৰ্ণে অঙ্গুলি প্রদান করিতে লাগিলেন, কখন ওষ্ঠে অঙ্গুলি অর্পণ করিয়া অবাক হইয় রছিলেন। যখন গায়ক গানের রাগিণী ধরিলেন, তখন আমি গৃহ স্বামীকে ঈশ্বরের দোহাই দিয়া বলিলাম যে ছয় কিছু কাপাস আমার কর্ণ কুহুরে প্রদান কর, নয় দ্বার খুলিয়া দেও, আমি চলিয়া যাই। কিন্তু বন্ধুদিগের একান্ত অনুরোধে বাধ্য হুইয়া আমাকে থাকিতে হইল। মহাক্লেশে রাত্রি যাপন করিলাম। প্রাতঃকালে একটা মুদ্র ও স্বীয় মস্তকের উকীষ প্রদান করিয়া গায়ককে অলিঙ্গন দিলাম। সেই গায়নের প্রতি আমার এই রূপ ৰ্যবহার, বন্ধুগণ, অনুচিত্ত বোধ করিলেন, আমাকে নিৰ্ব্বোধ ভাবিয়া ভঁাছার মনে মনে হাস্য করিতে লাগিলেন। এক জন বন্ধু আর স্থির থাকিতে পারিলেন না । তিনি ভৎসনা করিয়া বলিলেন “এই কার্যটি তুমি বুদ্ধিমানের ন্যায় কর নাই। এমন উৎকৃষ্ট পরিচ্ছদ এমত গাখককে দান করিলে যে জন জীবনে একট পয়সা উপার্জন করিতে পারে নাই। এ ব্যক্তিকে কেছ এক স্থানে দুইবার দেখিতে পায় না, এ গায়ক এ ভবন হইতে দূর হউক। ” যথার্থঃ যখন তাছার কণ্ঠ হইতে সেই ভয়ানক ককশ সুর নির্গত হইতে লাগিল, শরীর কঁাপিয় উঠিল, পারাবত সকল ভয়ে গৃহ চুড়া হইতে উড়িয়া