পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bኀን” হিন্দুত্ব ১৩:৩৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি) SumitaBot (আলাপ) ১৩:৩৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি)^^^^^^^^ • দেখা গেল যে আমাদের শাস্ত্ৰে অনুল্লঙ্ঘনীয় অদৃষ্টবাদ অসম্ভব এবং আমাদের মধ্যে লোকসাধারণ যে অনুল্লঙ্ঘনীয় অদৃষ্ট-বাদের কথা কয়, তাহা তাহাদের একটা ওজর মাত্র, যুক্তি বা বিশ্বাস মূলক কথা নয়। এখন আমরা যদি বুঝি যে আমাদের জীবন রক্ষার্থ, সমাজ রক্ষার্থ, জাতি রক্ষার্থ ও ধৰ্ম্মচৰ্য্যশৰ্থ আমাদের পার্থিব বিদ্যা ও সম্পদ আবশ্যক হইয়াছে, তাহা হইলে পুরুষকারের বলে পুৰুষাকার বৃদ্ধি করিয়া এবং শারীরিক আলস্য-প্রবণতা পরাজয় করিয়া, সেই পূর্ণ পুরুষকায়াবতার ধ্রু বের ন্যায় সৰ্ব্বক আল্যাণদাতা ভগবানের নাম করিয়া সকল পাধি সকল বিস্ত্র সমস্ত বিভীষিকা অতিক্রম ও উপেক্ষা কলিয়া অপরিসীম পার্থিব শক্তি ও সম্পদ সঞ্চয় করিয়া আমাদের সকলকে সেই সৰ্ব্বশক্তিরূপী এবং সর্বসম্পদ রূপী ভগবানের সেবায় নিযুক্ত হইতে হইবে এবং পৃথিবীকে স্বর্গে পরিণত কুরিয়া তুলিতে হইবে। ধ্রুব কথা দৃঢ় প্রতিজ্ঞতার কথা । কিন্তু উপরে বলিয়াছি‘গ্ৰীক বল রোমান বল ইংরাজ বল ফরাসি বল জৰ্ম্মাণ বল যে যত উন্নতি করিয়াছে সকলই প্ৰতিজ্ঞ ও পুরুষকারের বলে করিয়াছে।” তবে কেমন করিয়া বলা যায় যে ধ্রুব-কথা হিন্দুরই কথা, আর কাহারো কথা নয় ? দৃঢ় প্রতিজ্ঞতা ত হিন্দু ভিন্ন আরো অনেকের ছিল এবং আছে। একথা সত্য। কিন্তু ধ্রুব-কথায় বাহ্য সম্পদের জন্য একমাত্র ভগবানে যে নির্ভর দেখি তাহা ত্মার কোথাও দেখিতে পাই না । ধৰ্ম্মচৰ্য্যা সকল দেশেই আছে, ধাৰ্ম্মিকও সকল দেখেই আছে। কিন্তু ধৰ্ম্মচৰ্য্যা দ্বারা সমস্ত বাহ সম্পদ লাভ করিতে পারা যায়। একথা