বিবাহ। SSA MANYA M-Ma na larvarramura-Arw~/\ /SumitaBot (আলাপ)^_^ -1 \, an Apayak এবং সমাজসেবা হয় না। বোধ হয় হিন্দুশাস্ত্ৰ ভিন্ন অন্য কোন শাস্ত্ৰে একথা বলে না । বোধ হয়। হিন্দু ভিন্ন জগতে আর কেহই ধৰ্ম্মচৰ্য্যা এবং সমাজসেবা বা পরোপকারের জন্য দার পরিগ্ৰহ করে নাই ও করে না। আর কেহ যাহা করে নাই, এক হিন্দু তাহা কেন করে, সে কথা এস্থলে বুঝাইবার আবশ্যক নাই। এস্থলে এই পৰ্যন্ত বলিলেই চলিবে যে বিবাহের উদ্দেশ্য ও আবশ্যকতা সম্বন্ধে হিন্দুশাস্ত্রকারদিগের মত যে কতদূর পাকা তাহা এত দিনের পর ইউরোপে কেবল কোমতের শিষ্যেরা কিয়ৎ পরিমাণে বুঝিতে সক্ষম হইয়াছেন। কোম্ৎ মুক্তকণ্ঠে বলিয়াছেন যে ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি এবং হৃদয়ের গুণ সম্বন্ধে স্ত্রী পুরুষ অপেক্ষা অনেক গুণে শ্রেষ্ঠ এবং সেই জন্য স্ত্রীর সাহায্য ব্যতিরেকে পুরুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবন পূর্ণতা লাভ করিতে পারে না। কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রকারদিগের মতের দার্শনিক ভিত্তি যাহাই হউক, সে মতটি কি এস্থলে কেবল তাঁহাই জানা আবশুক। জনাওঁ গেল যে হিন্দুবিবাহের উদ্দেশ্য ধৰ্ম্মচৰ্য্যা ও পরোপকার। জানা গেল যে পবিত্র পরোপকার-ব্রত পালন করিবার জন্য, সমগ্র সমাজের সেবা করিবার জন্য, পবিত্র পিতৃপুরুষগণের আত্মার যথাবিহিত পূজার জন্য, জগতে মনুষ্য বল, পশু বল, পক্ষী বল, সকল প্ৰাণীর প্রাণ রক্ষা করিবার জন্য হিন্দু পুরুষ রমণীর সহিত মিলিত হইয়া থাকেন। যে বিবাহের উদ্দেশ্য এত মহৎ, এত পবিত্র, এত প্রশস্ত, সে বিবাহে পত্নী অথবা ভাৰ্য্যা কি বস্তু তাহা বুঝিয়া দেখা আবশ্যক। কিন্তু অগ্ৰে সংক্ষেপে আর একটী কথার নিস্পত্তি করিব । সকল দেশেই বিবাহের অগ্ৰে কন্যা নিৰ্বাচন করিতে
