পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RoR হিন্দুত্ব { Araya" ELLLLL LLL AALL LLLLLLLALALLLL LLLL LL LLLLLLLSLLLSLLLSLLLMLLALA ASLSLLLLLL r 'যেরূপ স্বামিত্ব জন্মে, প্রদত্ত্ব কন্যার উপর কন্যাগ্ৰহিতার সেইরূপ স্বামিত্বই জন্মিয় থাকে। আর এক স্থলে মনু একথা আরো স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন :- মঙ্গলার্থাৎ স্বাস্ত্যয়নং যজ্ঞশ্চাসোৎ প্রজাপুতঃ। • প্ৰযুজ্যতে বিবাহেষু প্ৰদানং স্বাম্যকারণং ৷ (৫অ-১৫২) * বিবাহ, কালে যে স্বস্ত্যয়ন ও প্রজাপতির উদ্দেশে যাগানুষ্টান করা এহইয়া থাকে তাহা কেবল মঙ্গলের নিমিত্তই বলিতে হইবে। ফলতঃ বাগদানই স্বামীর স্ত্রীর প্রতি স্বামিত্বের কারণ। এখানে স্বামিত্বের অর্থ অধিকার অথবা প্ৰভুত্ব বই আর কিছুই নয়। অতএব সম্প্রদানরূপ কাৰ্য্যের গুণে কন্যা ভাৰ্য্যাত্ব লাভ করেন না, পতির সম্পত্তি হন মাত্ৰ। ঘট, বাটি যেমন সম্পত্তি, তেমনি সম্পত্তি হন। মাত্র। বড় লজ্জার কথা সন্দেহ নাই। কিন্তু কথাটার একটু অর্থ আছে। হিন্দু শাস্ত্রকারের এক পুরুষকে একটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি অথবা পুৰুষ বলিয়া গণ্য করেন না । স্ত্রীর সহিত মিলিত যে পুরুষ তাহকেই তাহারা পুরুষ বলেন। যথা ভগবান মনুঃ— ' এতাবানেব পুরুষো যজ্জায়াত্মা প্ৰজেতি হ। বিপ্ৰাঃ প্ৰাহুস্তথা চৈতদযো ভৰ্ত্তা সা স্মৃতাঙ্গন ॥৯অ-৪৫) পুরুষ বলিলে এই পৰ্য্যন্ত বুঝিতে হইবে—জায়া, আত্মা ও অপত্য। পণ্ডিতেরা বলেন যে ভৰ্ত্তা ও ভাৰ্য্যা এই দুইয়ের নামই পুরুষ । এই চমৎকার কথার যে কি গৃঢ় তাৎপর্ঘ্য তাহা এস্থলে বুঝাইবার আবশ্যক নাই। জানা গেল যে হিন্দুশাস্ত্রকার দিগের মতে, ভাৰ্য্যাহীন পুরুষ একটি অসম্পূর্ণ ব্যক্তি, ভাৰ্য্যা