পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o হিন্দুত্ব। যথেচ্ছ বিহার ও সন্তান বধ ভিন্ন আর উপায় থাকে না। যে মত অম্বল" করিয়া কাৰ্য্য করিলে সমাজ যথেচ্ছাচার ক্ষেত্র হইয়া পড়ে, সে মতের মৃত্যতা বা সারবত্তা বিষয়ে ঘোর সন্দেহ উপস্থিত হয়। ফল কথা, যে দেশের ঐ মত সে দেশেও ঐ মতানুসারে ফাৰ্য্য হয় না। হইলে ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র এবং নিতান্ত দুৰ্যবস্থাপন্ন কৃষিজীবী ও শ্রমজীবীদিগের মধ্যে ব্বিাস্তু প্ৰথা দেখিতে পাওয়া যাইত না। অতএব তাহাদের মধ্যেও যে বিবাহ প্ৰথা প্ৰচলিত এবং যথেচ্ছাগমন নিষিদ্ধ দেখিতে পাওয়া যায়,তাহার অর্থ এই যে মানবের নীতি ও সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষাই বিৰূহের উদ্দেশ্য, বিবাহৰদ্বারা সন্তান উৎপন্ন করিয়া সন্তানাদির ভরণপোষণ করা বিবাহের উদ্দেশ্য নয়। তবে কেন বল যে, যে পৰ্য্যন্ত স্ত্রী পুত্রাদিকে প্ৰতিপালন করিবার মতন সঙ্গতি না হয়। সে পৰ্য্যন্ত বিবাহ করিব না বা বিবাহ করা অন্যায় ? তবে কি স্ত্রী পুত্ৰ প্ৰতিপালনের কথাটা একেবারেই পরিত্যাগ করিতে হইবে ? না,শস্ত্ৰ নয়। কিন্তু ভিন্ন রকমে উহার মীমাংসা করিতে হইবে। অর্থাৎ বিবাহের নৈতিক সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য সাধনাৰ্থ বিবাহের যে নূয়স প্রশস্ত হয় সেই বয়সে বিবাহ করিয়া স্ত্রীপুত্ৰাদি প্রতিপালনের ভার যত লঘু করিতে পারা যায় তাহার উপায় করা কৰ্ত্তব্য। উপায়ও অনেক আছে। এক উপায় পারিবারিক সাহায্য। পারিবারিক প্রণালী যে প্রকার হইলে স্ত্রী পুত্ৰদির প্রতিপালনার্থ পিতা পিতৃব্য বা সহােদরাদির সাহায্য পাওয়া যায়, পারিবারিক প্রণালী সেই প্রকার হওয়া উচিত। আমাদের পারিবারিক প্ৰণালী সেই প্রকার, ইহা আমাদের বড়