দিগের মনশ্চক্ষু-সম্মুখে মধুর স্বভাব অথচ স্বাধীনস্থা বশিষ্ঠের বরণীয় মূৰ্ত্তি আসিয়া উপস্থিত হয়, যিনি বলিয়াছেন, “ যুক্তিযুক্তমুপাদেয়ং বচনং বালকাদপি । অন্যং তৃণমিব ত্যজ্যমপুত্ৰং পদ্মজন্মন " ॥ হিন্দুনাম উচ্চারিত হইলে আমাদের মনশ্চক্ষু-সম্মুখে সেই , নবীন দুৰ্ব্বাদলশ্যাম ধীর প্রশান্ত মুক্তি আবিভূত হয়েন, যিনি পিতৃ-সত্য পালন নিমিত্ত চতুর্দশ বৎসর কাল অরণ্যে অশেষ ক্লেশ সহ্য করিয়াছিলেন ও জিতেন্দ্ৰিয়ত্ব ও সত্যবাদিতার পরাকাষ্ঠ প্রদর্শন করিয়াছিলেন । হিন্দুনাম উচ্চারিত হইলে আমাদের মনশ্চক্ষু-সম্মুখে যুধিষ্ঠির আসিয়া আবিভূত হয়েন, যাহার নাম ভারতবর্ষে ধৰ্ম্মশদের প্রতিবাক্য স্বরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে । হিন্দুনাম উচ্চারিত হইলে সেই অলোকসামান্য পুরুষ আমাদিগের মনশ্চক্ষু সম্মুখে উপস্থিত হয়েন, যিনি যুধিষ্ঠিরকে আপনার মৃত্যু সাধনের উপায় বলিয়া দিয়া অসাধারণ মহত্ব প্রকাশ করিয়া ছিলেন এবং ਮੁੜ কঠোর যন্ত্রণার মধ্য হইতে পাওবদিগকে অশেষ অমূল্য ধর্মোপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন । এই নাম উচ্চারিত হইলে সেই মহামনা রাজষি জনক আমাদের স্মৃতিক্ষেত্রে উপস্থিত হয়েন, যিনি পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ রূপে বিষয়ের প্রতি মনোযোগী থাকিয়াও এক মুহুৰ্ত্তও অধ্যাক্সযোগ হইতে স্থলিত হইতেন না। এইনাম উচ্চারণ করিলে মহাত্মা পুরুরবাকে স্মরণ হয়, যিনি এলেক্জওরের নিকট শৃঙ্খলবদ্ধ হইয়া বন্দীভাবে নীত হইলে এবং এলেক্জগুর “তোমার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিব।” এই কথা জিজ্ঞাস
