পাতা:হিন্দুর জীবন-সন্ধ্যা - যোগেশচন্দ্র রায়.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুর জীবন-সন্ধ্য। অতুল অলকাপুরী, বিশ্ববিমোহিনী, সেই পুত্ৰগণ তব, মাটির পুতুলে, উৎসৰ্গিল মনঃ প্ৰাণ, ক্ষমতা অসীম । এত বলি মায়াদেবী, জননীর সঙ্গ, অগ্রসরি কত দূর, দেখিলা তথায় বসিয়া ব্ৰাহ্মণমূৰ্ত্তি চারু তরুতলে ; কুঞ্চিত ললাট-দেশ, নিমগ্ন চিন্তায়, কতক্ষণে প্রচারিলা গভীর আরাবে,- “সৰ্ব্বত্ৰ ভাগ্যের জয়, কৰ্ম্ম চেষ্টা যত, জলের তিলেক যেন শোভন ললাটে ।” আরো কিছু দূরে বসি, আরো কয়জন নিমগ্ন চিন্তায় গাঢ়, একাদশী ব্ৰতে, নবমীর ভক্ষ্যাভক্ষ্যে ; কোন শব্দ করি, কোনরূপে পড়ে ফল মৃত্তিকা উপর। বিষাদে দেখিলা মাতা, এই পুরী মাঝে, ছিল যে অমৃত-উৎস, সলিলে যাহার জগতের ক্ষুধা তৃষ্ণ হতো বিদূরিত, সে ঝরণা তীব্র গ্রীষ্মে গেলো। শুকাইয়া । কঁাদিলা দুঃখিনী মাতা বিষাদে আবার, কে শুনে দুঃখের কান্না সে বিচিত্ৰ স্থানে ? ঘুরিলেন অঙ্কবন, জ্যোতিষ বিটপী, আয়ুৰ্বেদ অরণ্যাণী, দেখিলা জননী, সৰ্ব্বত্ৰ শৃঙ্খলাশূন্য, বিভীষণ কীট, প্ৰবেশিছে দম্ভভরে, জ্যোতিষ-পাদপে,