(২৫)
এই অট্টালিকার মধ্যদেশে নূতন সংস্থাপিত সংস্কৃত কলেজ এবং দুই বাহুতে হিন্দু কলেজ সন্নিবেশিত হইল। এই সময়ে শেষোক্ত বিদ্যালয়টি প্রথম ঐ সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়।
এই সময়ে হিন্দু কলেজকে তিন নামে ডাকা হইত, হিন্দু কলেজ, এঙ্লো ইণ্ডিয়ান্ কলেজ ও মহাবিদ্যালয়। উহাতে বাঙ্গালা ইংরাজি পারসি পড়া হইত বলিয়া উহার এক নাম এঙ্লো ইণ্ডিয়ান্ কলেজ ছিল।[১]
উল্লিখিত মূলপ্রস্তর প্রোথিত করিবার অব্যবহিত পূর্ব্বে সাহেবদিগের মধ্যে এতদ্দেশীয়দিগকে ইংরাজী শিক্ষা প্রদান করার বিধেয়তা বিষয়ে তুমুল আন্দোলন চলিতেছিল। তাহাদিগের মধ্যে কতকগুলি ইংরাজ শিক্ষার পক্ষ ও কতকগুলি
- ↑ উক্ত কলেজের ১৮৩৪ খৃষ্টাব্দের ৭ আগষ্ট তারিখের প্রদত্ত ৯২ নম্বর সর্টফিকেটে এই সকল ব্যক্তির ইংরাজী স্বাক্ষর দেখায়।
আর হেলিফেকস
হেডমাষ্টার
জে, সি,সি, সদর্লণ্ড
বিজিটর
ডেবিড্ হেয়ারপ্রসন্নকুমার ঠাকুর
রসময় দত্ত
এ ট্রয়র
রামকমল সেন
রাধনাধব বাঁড়ুয্যে
দ্বারকানাথ ঠাকুর
রাধাকান্ত দেব
শ্রীকৃষ্ণ সিংহ
উক্ত সর্টফিকেটে উহার এঙ্গ্লো ইণ্ডিয়ান কলেজ এই নাম দেখা যায়। মেজর ট্রয়র সাহেব সংস্কৃত কলেজের তদানীন্তন অধ্যক্ষ ছিলেন।