পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩৫ )

ইনস্ট্রক্‌শন্ অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষা কমিটী কৌন্সিল অব এডুকেশন অর্থাৎ শিক্ষা সমাজে পরিণত হইলে পর ১৮৪১ সালে যখন সর এডওয়ার্ড রায়েন শিক্ষা সমাজের সভাপতি ছিলেন, তখন তিনি যেরূপ অর্থানুকুল্য করা হইতেছে সেরূপ তত্ত্বাবধান হইতেছে না, ইহা বিবেচনা করিয়া কলেজ কমিটীর সঙ্গে এই বন্দোবস্ত করিলেন যে কলেজ কমিটীর সকল সভ্য শিক্ষা সমাজের সভ্য হইবেন এবং শিক্ষা সমাজের সকল সভ্য কলেজ কমিটীর সভ্য হইবেন। কিন্তু যখন কলেজ কমিটীর অধিবেশন হইবে, তখন শিক্ষা সমাজের দুইজন সভ্য এবং তাহার সভাপতি এবং সম্পাদক উপস্থিত থাকিবেন এবং যখন শিক্ষা সমাজের অধিবেশন হইবে তখন কলেজ কমিটীর দুইজন সভ্য মাত্র উপস্থিত থাকিবেন। শুদ্ধ এই বন্দোবস্ত হইল তাহা নহে, কলেজকমিটীর নাম লুপ্ত হইয়া তদবধি তাহা Section of the Council of Education for the Management of the Hindu College অর্থাৎ হিন্দু কলেজের তত্ত্বাবধানর্থ শিক্ষা সমাজের বিভাগ, এই নামে খ্যাত হইল। তৎপরে ১৮৫৩ সালে হিন্দু কলেজের শিক্ষক কৈলাসচন্দ্র বসু খৃষ্টীয়ান হইয়া যাওয়াতে কলেজকমিটীর এতদ্দেশীর সভ্যেরা তাঁহাকে কর্ম্মচ্যুত করিবার এবং ইংরাজ সভ্যেরা তাঁহাকে রাখিবার অভিপ্রয় করাতে তাহাদিগের মধ্যে ঘােরতর বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিরােধ নিবন্ধন, শ্রীযুক্ত প্রসন্নকুমার ঠাকুর কলেজকমিটী হইতে অবসৃত হয়েন। এই সময় রাজা রাধাকান্ত দেব, রাধামাধব বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীকৃষ্ণ সিংহ, আশুতােষ দেব, রসময় দত্ত প্রভৃতি কলেজ কমিটির মেম্বর