পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৫২ )

ইনি অত্যাচার সহ্য করিতে পারিতেন না। এ নিমিত্ত দুষ্টস্বভাব ইংরাজদিগের সহিত তাঁহার বনিত না। সর্ব্বদা তাহাদিগের সহিত তাঁহার মুষ্টিযুদ্ধ হইত। ইনি বাবু প্যারীচাঁদ মিত্রের সহায়তায় “মাসিক পত্রিকা” প্রকাশ করিয়া পণ্ডিতী ভাষার পরিবর্ত্তে অত্যন্ত সহজ ভাষায় রচনা করিবার দৃষ্টান্ত প্রথম প্রদর্শন করেন।

 বাবু প্যারীচাঁদ মিত্র —ইনি বাঙ্গালা ভাষার হাস্যকর উপন্যাসের সৃষ্টিকর্ত্তা। ইনি এ প্রকার উপন্যাস প্রণয়নে ফিলডিংএর ন্যায় ক্ষমতা প্রদর্শন করিয়াছেন। কিন্তু ফিলডিং এর অশ্লীলতা ইঁহার রচিত গ্রন্থে নাই। তাহা নীতিগর্ভ উপদেশে পরিপূর্ণ।

 অনরেবল দিগম্বর মিত্র—ইনি আমাদের দেশের এক জন প্রধান রাজনীতিজ্ঞ ব্যক্তি।

 বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর—ইনি আমাদিগের দেশের বর্ত্তমান ধর্ম্মসংস্কারদিগের মধ্যে সর্ব্ব প্রধান। ইনি অতি ধার্ম্মিক ব্যক্তি ও সকলেরই শ্রদ্ধাভাজন।

 পরলােকগত রমাপ্রসাদ রায়—ইনি রামমােহন রায়ের কনিষ্ঠ পুত্র ও এক জন বিখ্যাত উকীল ছিলেন ও এতদ্দেশীয়দিগের মধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে প্রথম নিযুক্ত হয়েন। ইনি মৃত্যুকালে ঐ কর্ম্মের নিয়ােগপত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তাহা প্রাপ্ত হইয়া বলিয়াছিলেন, “আমি এক্ষণে উচ্চতর বিচারালয়ের সম্মুখে যাইতেছি। এ পত্রে আমার কি হইবে?”

পরলােকগত দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।—ইনি অতি প্রসিদ্ধ ডাক্তর ছিলেন।