পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S అన్న হিন্দু আইন তদভাবে গুরু, শিস্য, পুরোহিত, স্বজাতিবর্গ, গ্রামের ব্রাহ্মণগণ ; তদভাবে রাজা অর্থাৎ গবর্ণমেণ্ট ওয়ারিস হইবেন । কোন কোন ব্যক্তি উত্তরাধিকারী হইতে অক্ষম। উপরে উত্তরাধিকারীগণের বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করিবার সময়ে লিখিত হইয়াছে যে কোনও কোনও ব্যক্তি অবস্থাবিশেষে উত্তরাধিকারী হইতে পারে না । যথা, বিধবা পত্নী বা মাতা অসতী হইলে উত্তরধিকারিণী হইতে পারেন না ; বিধবা মাতা পুনরায় বিবাহ করিলে উত্তরাধিকারিণী হইতে পারেন না ; পুত্রচীনা বিধব। কন্যা উত্তরাধিকারিণী হইতে পারেন না ; ইত্যাদি । এতদ্ভিন্ন, আরও কতকগুলি ব্যক্তি উত্তরাধিকারী হইতে পারে না, তাহাদের সম্বন্ধে শাস্ত্রে এইরূপ লিখিত আছে, যথা—মকু বলিয়াছেন “অনংশে ক্লীব পতিতো জাত্যন্ধবধিরস্তথ। উন্মত্তজড়মুকাশ্চ যে চ কেচিৎ নিরিক্রিয়াঃ ॥” অর্থাৎ ক্লীব, জাতিভ্রষ্ট, জন্মান্ধ, জন্মবধির, উন্মাদগ্রস্ত, জড়বুদ্ধি, মূক এবং কোন অঙ্গহীন ব্যক্তি সম্পত্তির কোনও অংশ পাইবে না। যাজ্ঞবল্ক্য বলিয়াছেন—“পতিতস্তৎস্থত: ক্লীবঃ পঙ্গুরুন্মত্তকো জড়ঃ । অন্ধোইচিকিৎসরোগার্তা ভৰ্ত্তব্যাস্তে নিরংশকাঃ ॥* অর্থাৎ জাতিভ্রষ্ট ব্যক্তি ও তাহার পুত্র, এবং ক্লাব, পঙ্গু, উন্মাদগ্ৰস্ত, জড়বুদ্ধি, অন্ধ ও দুরারোগ্য রোগগ্রস্ত ব্যক্তি সম্পত্তির কোনও অংশ পাইবে না, কেবলমাত্র ভরণপোষণ পাইবে । এই শ্লোক দুইটীতে দেখা যাইতেছে মে ‘পতিত ব্যক্তি অর্থাৎ জাতিভ্রষ্ট বা ধৰ্ম্মত্যাগী ব্যক্তি হিন্দু-শাস্ত্রানুসারে উত্তরাধিকারী হইতে পারিত না; কিন্তু ইংরাজগণ এ দেশে আসার পর অনেকে খ্ৰীষ্টানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিত, তাহাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য গবর্ণমেণ্ট ১৮৫০ সালের ২১ আইন দ্বারা এই বিধান করিলেন যে ধৰ্ম্মত্যাগ করার জন্য কোনও ব্যক্তি কোনও