পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 श्न्लूि आहेन বিশেষ। রঘুনন্দন তাহার “দায়তত্ব” গ্রন্থে স্থানে স্থানে দায়ভাগের ব্যাখ্যা এবং অনুসরণ করিয়াছেন । শ্ৰীকৃষ্ণ প্রণীত "দায়ক্রমসংগ্রহ” গ্রন্থখানি দায়ভাগেরই একটী ব্যাখ্য' । মিতাক্ষর গ্রন্থ দায়ভাগের বহু পূৰ্ব্বে পণ্ডিত বিজ্ঞানেশ্বর • কর্তৃক রচিত হইয়াছিল। ইহা যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতির টীকা বিশেষ। মিতাক্ষর গ্রন্থখানিতে হিন্দু আইনের সকল বিষয়গুলিই (উত্তরাধিকার, দত্তকগ্রহণ, বিবাহ, ভরণপোষণ ) লিপিবদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু দায়ভাগ গ্রন্থখানি বঙ্গদেশে উত্তরাধিকার সম্বন্ধে বিশেষ বিধি প্রচলিত করিবার জন্য রচিত হইয়াছে । সুতরাং বঙ্গদেশে উত্তরাধিকার ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে মিতাক্ষরার বিধি গ্রাহ হইবে । র্যাহারা দায়ভাগশাসিত, তাহাদের প্রতি উত্তরাধিকার সম্বন্ধে মিতাক্ষরা অপেক্ষা দায়ভাগই প্রবল হইবে । বঙ্গদেশের কোন কোন স্থানে অনেক বাঙ্গালী বাস করেন, তাহারা মিতাক্ষর কর্তৃক অনুশাসিত, তাহারা সম্পত্তি বিভাগ ও উত্তরাধিকার বিষয়ে দায়ভাগ অপেক্ষা মিতাক্ষরার বিধিই মানিয়া চলিবেন । ( এই গ্রন্থের পরিশিষ্ট মিতাক্ষরার বিধিগুলি লিপিবদ্ধ হইয়াছে ) । (৫) রাজকীক্স আইল সনমূহ। পূৰ্ব্বোক্ত স্মৃতি ও নিবন্ধগুলি হইতে আমরা যে আইনব্যবস্থা প্রাপ্ত হই, তাহা স্থানে স্থানে রাজকীয় আইনসমূহ কর্তৃক পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে। যথা, কোনও ব্যক্তি ধৰ্ম্মাস্তুর গ্রহণ করিলে সে তাহার পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইতে পারিতনা ; ইহাই স্মৃতিশাস্ত্রোক্ত প্রাচীন হিন্দু আইন ছিল ; কিন্তু ১৮৫০ সালের ২১ আইনের বিধানমতে এখন আর কেহ ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করিলে উত্তরাধিকার হইতে বঞ্চিত হয় না। এইরূপে যে যে স্থানে রাজকীয় আইন কর্তৃক প্রাচীন হিন্দু আইন পরিবর্তিত হইয়াছে, তাহ এই পুস্তকের যথাস্থানে লিখিত হইয়াছে। " (৬) =াজীৱ । নজীরগুলি দ্বারাও প্রাচীন হিন্দু আইনের অনেক