পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তকগ্রহণ S > যাহা অসিদ্ধ তাহা চিরকালই অসিদ্ধ এবং কোনও ঘটনা দ্বারা তাহা পরে সিদ্ধ হইতে পারে না । স্ত্রীলোক কতৃক দত্তক গ্রহণ –স্বামীর অনুমতি । পুরুষ যদি দত্তক গ্রহণ করিতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে তিনি স্ত্রীর সম্মতি লইতে বাধ্য নহেন ; এমন কি, স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধেও দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন। কিন্তু কোন স্ত্রীলোক স্বামীর অনুমতি বা সম্মতি ব্যতীত দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন না। বশিষ্ঠ লিখিয়াছেন—“ন স্ত্রী পুত্ৰং দদ্যাং প্রতিগৃহীয়াং বা অন্যত্রামুজ্ঞানাং ভৰ্ত্ত " অর্থাং স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রী কোন পুত্রকে দত্তকরূপে দান বা গ্রহণ করিতে পারেন না । ইহা হইতে বুঝা যায় যে, কোন স্ত্রীলোক তাছার নিজের পারলৌকিক উপকারের জন্য দত্তকগ্রহণ করিতে পারে না—কেবলমাত্র তা২ার স্বামীর মঙ্গলের জন্যই পারেন । এই কারণে কোনও অবিবাহিত | স্ত্রীলোক দত্তকগ্রহণ করিতে সক্ষম নহেন ( ৪ বোম্বাই ৫৪৩ : ১১ মাদ্রাজ ৪৯৩ ; ১২ মুরস ইণ্ডিয়ান আপীলস্ ৫৩৭ )। স্বামীর অনুমতি দেওয়া থাকিলে বিধবা দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন । অনুমতি বাচনিক হইতে পারে কিংবা দলিল দ্বার। দেওয়া যাইতে পারে। যদি ঐ অনুমতি উইলের দ্বারা দেওয়া হয়, অর্থাৎ উইলের মধ্যে উইলকৰ্ত্তা স্ত্রীকে দত্তক গ্রহণ করিবার ক্ষমতা লিথিয়া দেন, তাহ হইলে কোন .ষ্ট্যাম্প কাগজের প্রয়োজন হয় ཤཱ!, ༦ཐ་ཐར রেজেষ্টারী না করিলেও চলে, (কিন্তু রেজেষ্টারী কুরা খুবই কৰ্ত্তব্য )। যদি উং অনুমতিপত্রে লিখিত হয়, তাহা হইলে তাহ ২০ টাকার ষ্ট্যাম্প কাগজে লিখিতে হইবে, এবং রেজেষ্টারী করিতেই হইবে, নতুবা সিদ্ধ হইবে না।