পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তকগ্রহণ ১৩ করিলেন, সেও মরিয়া গেল ; বিধবা পুনরায় দত্তকগ্রহণ করিলেন, ঐ দত্তকেরও মৃত্যু হইল ; বিধবা তৃতীয়বার দত্তকগ্রহণ করিলেন। তখন প্রশ্ন উঠিল যে বিধবার স্বামী দুইবার দত্তক গ্রহণ করিবার ক্ষমতা •দিয়াছেন, অতএব তৃতীয় দত্তক গ্রহণ সিদ্ধ কি না । প্রিভি কেন্সিল স্থির করিলেন, যে স্বামী দত্তক গ্রহণের সাধারণ ক্ষমতা দিয়া গিয়াছেন, সুতরাং তৃতীয় দত্তক গ্রহণ অসিদ্ধ নহে (৩৪ এলাহাবাদ ৩৯৮ ) । স্বামী সাধারণ কথায় স্ত্রীর প্রতি দত্তক গ্রহণের অনুমতি দিয়া গেলে, ঐ বিধবা যে কোন বালককে গ্রহণ করিতে পারেন । কিন্তু স্বামী জীবিতাবস্থায় যে বালককে গ্রহণ করিতে পারিতেন না, তাহার মৃত্যুর পর তাহার বিধবা স্ত্রীও সেই বালককে দত্তকরূপে লইতে পরিবেন না । অনুমতি পত্র অসিদ্ধ হইলে তাহার বলে বিধবা কোনও দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন না । স্বামীর অনুমতি থাকিলে বিধবা স্ত্রী নাবালিকা ( ১৫ বৎসরের কম বরস্কা ) হইলেও দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন । মন্দাকিনী বঃ আদিনাথ, ১৮ কলিকাতা ৬৯ ) ; কিন্তু অসতী বিধবা স্বামীর অনুমতি থাকিলেও দত্তকগ্রহণ করিতে পারেন না ( ৫ বেঙ্গল ল রিপোট ৩৬২ )। স্বামীর অনুমতি থাকিলে বিধবা যখন ইচ্ছা ( এমন কি, স্বামীর মৃত্যুর ১৫, ২৫ বা ৫০ বৎসর পরেও ) দত্তকগ্রহণ করিতে পারেন ( ৬ উইকলি রিপোর্টার ২২১ ; ৯ বোম্বাই ৫৮ ) । তবে যদি স্বামী কোনও সময় নির্দিষ্ট করিয়া দিয়া থাকেন যে এত বৎসরের মধ্যে দত্তকগ্রহণ করিতে হইবে, তাহা হইলে সেই সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর দত্তকগ্রহণ করা সিদ্ধ হইবে না ( ২৮ এলাহাবাদ ৩৭৭ )।

  • আরও একটা নিয়ম জানিয়া রাখা উচিত। যদি স্বামীর দত্তকপুত্র বা ঔরসজাত পুত্রেব মৃত্যু হওয়ার পর পুত্রবধুতে বা পৌত্রে সম্পত্তি বৰ্ত্তে, তাহা হইলে ৰিধবা আর দত্তকগ্রহণ করিতে পারেন না ; এমন কি ঐ

డా