পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
২৩

জলাঞ্জলি প্রদান করত কলিকাতা নগরে আসিয়া বাস করিল। এই ঘটনার পর কিছু দিন গত হইলে এক দিবস সে আপন গৃহের গবাক্ষদ্বারে দণায়মান হইয়া রাজপথ নিরীক্ষণ করিতেছিল, ইতি মধ্যে তাহার সেই স্বামি তাহার দৃষ্টিপথে পতিত হইলেন, এবং সে তাঁহাকে দেখিবামাত্রই চিনিতে পারিল ও আপন দাসীকে কহিল, তুমি ঐ ব্রাহ্মণটীকে ডাকিয়া আন, দাসী তৎক্ষণাৎ তাহাই করিল, ব্রাহ্মণ ঐ বাটী বেশ্যার বলিয়া জানিতেন না, সুতরাং সেই স্থানে গমন পূর্ব্বক তাহার আতিথ্য গ্রহণ করিলেন, পরে সায়ংকাল উপস্থিত হইলে ঐ নারী এক খানি রজতময় পাত্রে বহু সংখ্যক মুদ্রা স্থাপন পূর্ব্বক তাহা হস্তে লইয়া সেই ব্রাহ্মণের সম্মুখে রাখিল, ব্রাহ্মণ তদ্দৃষ্টে অতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইয়া ঐ নারীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে? আর কি নিমিত্তই বা আমার প্রতি এত সদয় হইয়াছ, তাহা বিস্তারিত রপে বর্ণনা কর। ইহা শ্রবণ করিয়া সেই নারী কহিল, আমি অমুক দেশের অমুক বংশের দুহিতা আমার নাম গৌরমণী; এই কথা শ্রবণ করিবামাত্র ব্রাহ্মণ একেবারে বিস্ময়সাগরে মগ্ন হইলেন এবং আপন দুষ্কর্ম্মের নিমিত্ত মনে মনে অনুতাপ করিতে লাগিলেন ও সে স্থান হইতে প্রস্থান করিতে উদ্যত হইলেন, কিন্তু সেই বাররমণী কহিতে লাগিল। আমি তোমার জন্যই এরূপ দুষ্কর্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়াছি, তুমি অর্থ না পাইলে আমার সহিত সহবাস করিবে না, এখন এই অর্থ গ্রহণ করিয়া সহবাস কর। ব্রাহ্মণ এই কথা শ্রবণ করিয়া একেবারে দুঃখার্ণবে পতিত হইলেন, এবং এই প্রতিজ্ঞা করিলেন এই পর্যন্ত আমাদিগের বংশে