পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৬১

য়কেও সম্ভব বোধে বিশ্বাস করে, ও সকলের নিকট উপহাসাস্পদ হয়।

 কোন স্থলে নির্ব্বোধের উপমা দর্শাইতে হইলে, লোকে গর্দ্দভ ও স্ত্রী-জাতির উপমাই দর্শাইয়া থাকেন, আর ইহাদিগকে স্বভাবতঃ নির্ব্বোধ ও মুখ বলিয়া কত প্রকার ব্যঙ্গ করেন, এবং নারীগণকে সর্ব্ব দোষের আধার জ্ঞান করিয়া কত প্রকার গুণই বর্ণনা করিয়া থাকেন। ইহাঁরা সকল বিষয়েই বিপরীত ভাব গ্রহণ করেন;―যথা, ‘‘নারীগণ অবলা নামে বিখ্যাত হইল কেন? কেবল পশুগণের ন্যায় কিছুই বলিতে পারে না; এবং আমরা পশুগণের উপর যেরূপ আধিপত্য করিতে পারি, এই নারীগণের উপরও সেই রূপ করিয়া থাকি, সুতরাং নারীতে আর পশুতে কিছুই বিভিন্নতা নাই। আর উহারা বামা নামে বিখ্যাত হইল কেন?—তাহাও কেবল বুদ্ধি বাম বশতঃ”। হায়! দুঃখের কথা কি বলিব, এই বর্তমান কাল বলিয়া নহে, অতি প্রাচীন কালেও নারীগণের এইরূপ সমাদর ছিল, তৎকালীন গ্রন্থ কর্ত্তারাও আমাদিগের বহুতর প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন। যথা, “ভোজনে দ্বিগুণ, বুদ্ধিতে চতুর্গুণ, ব্যবসায়ে ছয় গুণ, কামে অষ্টগুণ ইত্যাদি।’’

প্রণয়।

 আহা! এই বাক্যটী কি সুমধুর, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে ইহা শুনিতে যেমন কোমল, আচরণ করিতে আবার তেমনি দুরূহ। এই প্রণয় ব্যতিরেকে কোন কর্ম্মই হইতে পারে না, এবং সকলেই এই প্রণয়ের প্রত্যাশা করেন। বয়স্য বয়স্যের নিকট,