পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 2 R शिंभांव्लभ কয়েকখানা কুটীর, তাতে অনেকগুলি সন্ন্যাসী । কিছুদিন আগে আমার বাসার চোর চাকরিটা সন্ন্যাসী সেজে খুব আড়ম্বরের সঙ্গে “বম বম” কোচ্ছিল, সে কথা পাঠকেরা জানেন ; এ সন্ন্যাসীগুলোও সেই দলের । তারা সেখানে বোসে কেউ কেউ জটিল কোচ্ছে, কেউ নিজেকে খুব উচু গলায় কোন বিখ্যাত সাধুর চেয়ে বড় প্রতিপন্ন কোরে বিলক্ষণ আত্মপ্ৰসাদ অনুভব কোছে, কেউ বা সমস্তই বৃথা ভেবে যৎপরোনাস্তি উৎসাহের সঙ্গে গঞ্জিকা দেবীর সেবা কোচ্ছে । বলা বাহুল্য আমরা সেখানে দাঁড়ালুম না ; তারা আমাদের সাধু দেখে অভ্যর্থনার ক্ৰটী কোলে না ; দু-তিনটে গাজার কোলকে আমাদের দিকে এগিয়ে দিয়ে গঞ্জিকাপানে “জবাকুসুমস্ঙ্কাশং”-লোহিত চক্ষু কপালে তুলে বোলে “থোড়া তামাকু পি জে !”। আমরা ত “পিজের।” মধ্যেই নই ; এক বৈদান্তিক তামাক খোর ; কিন্তু গাজার গন্ধে তিনি দশ হাত তফাতে সোরে দাড়ালেন । সুতরাং আমাদের কারো দ্বারা এই সন্ন্যাসীদের খাতির রহিল না। সাধু হোয়ে আমরা এ রকম কোরে গাজার কোলকের অপমান কোর্ভে সাহস কল্লাম দেখে, বেচারীদের বিস্ময় ও বিরক্তির সীমা রইল না। চলতে চলতে ফিরে তাকিয়ে দেখলুম, তারা একবার আমা’ , দিকে কটাক্ষপাত কোচ্ছে, আর কি সেন বোলছে ; অনুমান হলো আমরা যে “ভণ্ড সাধু” এই কথা নিয়ে তাদের মধ্যে একটা আলোচনা চোলাচে। বেলা এগারটার সময় আমরা নন্দ-প্ৰয়াগে পৌছলুম। এখানে নন্দার সঙ্গে অলকানন্দার সঙ্গম হোয়েছে । কারো কারো মতে অলকানন্দার সঙ্গে নন্দার সঙ্গম হোয়েই এখান হোতে অলকানন্দ নাম হোয়েছে। এসব নন্দ যে সশরীরে এই পৃথিবীতে বিদ্যমান আছে, আমাদের সে জ্ঞান ছিল না ; ছেলেবেলায় ভূগোলে পড়বার সময় এ সকল নামের সঙ্গে পরিচয় না হওয়ায় এগুলিকে স্বৰ্গরাজ্যের সামিল ধোরে রেখেছিলুম। এখন দেখছি সেগুলি স্বর্গের নয়, এই মর্ত্যেরই জলধারা। বাস্তবিকই