পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোশীমঠের পথে δ δο লালসাঙ্গায় এসে আমরা একটা ছোট দোকানঘরে বাসা নিলুম ; জায়গাটা তেমন নিৰ্জন নয়। কেদারনাথ এবং বদরিকাশ্ৰম উভয় পথের যাত্রীই এখানে সমবেত হয়, সুতরাং প্ৰায় সৰ্ব্বদাই এ স্থানটা সরগরম। থাকে। এখানে ও একটা থানা ও একটা দাতব্য চিকিৎসালয় আছে ; এই দুইটি বেশ বড় রকমের। প্রথমে থান। দেখে পরে চিকিৎসালয়টি দেপ্ততে যাব, এ রকমের ইচ্ছা ছিল ; কিন্তু এখানে পৌছিয়ে থানায় ঘে এক ব্যাপারের গল্প শুনা গেল, তাতে আর কোথাও যেতে, প্ৰবৃত্তি হলো। ন। ব্যাপারটা আবার আমাদেরই নিয়ে ; আমাদের অর্থাৎ সন্ন্যাসীদের । পাঠক হয় তা গল্পটী শুনবার জন্যে একটু উদগ্রীব হয়েছেন, সুতরাং সাধু সন্ন্যাসীদের পক্ষে গৌরবজনক না হোলেও আমাকে এখানে ব্যাপারটি খুলে বোলতে হোচ্ছে । ব্যাপার আর কিছু নয়, একজন স্বামীজি-অবশ্য অনেক তীর্থ ভ্ৰমণ এবং প্রচুর ডাল রুটীর সর্বনাশ কোরেছেন-সেইদিন সকালে চোর বলে ধূত হোয়েছেন। চুরীর জিনিস ও বড় বেশী নয়। এক দোকানদারের এক জোড়। ছোড়া নাগরা জুতো ! স্বামীজির স্কন্ধবিলদ্বিত ঝোলার মধ্যে শ্ৰীমদ্ভগবদগী তার পাশে শততালিবিশিষ্ট, ধূলিধূসরিত সেই অনিন্দ্য সুন্দর নাগরা জুতা শোভা পাচ্ছিল । বেচার রাত্রে এক দোকানে ছিল ; অনেক রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত গীতাদি পাঠ হোয়েছে, দোকানদ1র সাধু সৎকারের ও ত্রুটি করে নি; কিন্তু সাধুর নিতান্তই গ্রহের ফের সকালে চােলে যাবার সময় সে দোকানদারের নাগরা জোড়াটা ভুলে ঝোলার মধ্যে তুলে নিয়ে “যঃ পলায়তি স জীবতি” কোচ্ছিল। এ দিকে দোকানদারের ও সকালে উঠে কোথায় যাবার অবশ্যক হয় ; সে জুতে। নেই!! ঐ সন্ন্যাসী ছাড়া তার দোকানে আর কেউ ছিল না, কিন্তু এই ঘোর কলিকালে জুতো যে সন্ন্যাসীর অনু গ্রহে এক রাত্রে হঠাৎ জ্যাস্তু গরু স্কোয়ে মাঠে চােরতে যাবে, নিতান্ত ছাতুখোর হোলে ও দোকানদারের মনে এমন সম্ভাবনাটা কিছুতেই স্থান পায় নি। সুতরাং সেই সন্ন্যাসীকে ধোরে ।