S R R श्धिाब्लग्न বাহিত হোয়েছিল। অতএব বলা বাহুল্য যে যোশীমঠ শুধু ভক্ত হিন্দুর কাছে নয়, ঐতিহাসিকের কাছে ও বিশেষ আদরের সামগ্রী । শঙ্করাচাৰ্য্য কোন সময় জন্ম গ্রহণ কোরেছিলেন, সে তত্ত্ব নিরূপণ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় ; সে জন্য কোনরকম চেষ্টাও করিনি ; চেষ্টা কোলে হয় ত একটু ফল লাভ হোতে, কিন্তু বাঙ্গালীজন্ম গ্ৰহণ কোরে, সেরূপ করা যে এক মহা দোয্যের কথা । আমরা প্ৰশ্নতত্ত্ব লিখি, কিন্তু তাতে কতটুকু নিজস্ব থাকে ? কেবল তৰ্জমা করি এবং এক জন বৈদেশিক কঠোর পরিশ্রম ও আজীবন সাধনদ্বারা যে সত্যটুকু আবিষ্কার কোরে গেছেন, তারই উপর টিক টিপ্পানী, ভাষ্য কোরে দোষগুণের অতি সূক্ষ্ম আলোচনা দ্বারা আপনাদের পাণ্ডিত্য স্ত, পাকারে ফাপি?ে তুলি ; এই তা আমাদের ক্ষমতা ! আজিকাল শঙ্করাচায্যের জন্মকাল নিয়ে বঙ্গ-সাহিত্যে বেশ একটু আলোচনা চোলাচে ; আমাদের মনে হয় সে আলোচনা আন্তরিক নয় এবং তা ইতিহাসের জ্ঞানাভিমানী পণ্ডিতদের সময় ক্ষেপণের উদ্দেশ্যহীন উপায় মাত্র, কিন্তু বাস্তবিকই যদি এ সম্বন্ধে একটা সত্য আবিষ্কারের জন্য প্ৰাণে গভীর আগ্রহ জেগে উঠতো, তা হোলে কি আমব স্থির থাকতে পাত্তম ? কথন না। শঙ্করাচাৰ্য্য সম্বন্ধীয় যে সকল রচ ও প্রাচীন গ্ৰন্থ, অনুশাসন ও নিদর্শনাদি যোশীমঠে আছে শুনা গেল, তাতে বুঝলুম। একটু বেশী চেষ্টা কোলেই তার সম্বন্ধে সমস্ত কথা সহজে জানতে পারা যায়। কিন্তু আমি মুখ, জ্ঞানলালসা-বিরহিত দ্বিপদ মাত্র, কাজেই সেদিকে আমার মন যায় নি। কিন্তু বাস্তবিক যারা ভারতের লুপ্তপ্ৰায় ইতিহাসের পঙ্কোদ্ধাবে বদ্ধপরিকর, তঁদের এই সমস্ত দুৰ্গম পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে এসে সত্যের সন্ধানে লিপ্ত হওয়াট উচিত। যাহোক অন্যান্য দেশ হোলে এরকম আশা করা অন্যায় হোত না, কারণ সে সকল দেশের লোক জীবনটা আসার মায়াময় বোলে কোন রকমে কাটিয়ে দিতে রাজী নয় ; যার উপর সমাজের ও দেশের মঙ্গল, পরিশেষে সমগ্ৰ মানবজাতির মঙ্গল
