পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8R হিমালয় - থাকতো, তা হোলে মনে কবুতুম ভায়া এই তীৰ্থস্তানে বুঝি আট দশজন সাধু সন্ন্যাসীকে খাইয়ে স্বর্গের পথ কিঞ্চিৎ প্রশস্ত করবার চেষ্টায় আছেন! কিন্তু তিনি তেমন লোক নন, পুণ্যার্জনের জন্যে তিনি সর্বত্যাগ কোরেছেন, কিন্তু উদরের জন্যে তিনি এই পুণ্যেরও কিয়দংশ ত্যাগ কোরুতে প্ৰস্তুত । সন্ধ্যা হোয়ে এল । অন্ধকার হেগয়েছে দেখে ছেলেটা উপরে উঠে গিয়ে বাজার থেকে ঘি সাল তে প্ৰদীপ নিয়ে এল ; তাই বুঝতে পারলুম, মন্দিরের বৰ্ত্তমান অধিবাসিগণ প্রত্যহ প্ৰদীপের মুখ দেখতে পান না। আজ আমা, দের কল্যাণে র্তারা একটু দেবত্ব উপভোগ কোরে নিলেন। শুধু ঘি সলতে নয়, ছেলেটি যথারীতি আড়ম্বর পোলে ঠাকু পদের আপনি বা পূলে ; তারপর আবার উপরে দোকানে গিয়ে খানকতক লুচি আর খানিকটে গুড় এনে ঠাকুরদের, ভোগ দিলে ; বলা বাহুল্য আমাদের জন্যে তাব বাপ লুচী তৈয়ে রী করেছিল মন্দিরের ঠাকুরমশায়েরা তাতেই ভাগ বসালেন। ভোগ হোয়ে গেলে ছেলে আমাদের প্রসাদ দিতে ও ক্ৰটি কল্পে না । এ অবস্থায় সে বালককে যৎ কিঞ্চিৎ না দেওয়া ভাল দেখায় না, সুতরাং তাকে কিছু দেওয়া গেম, সে ত৷ প্ৰণামী শ্রেণীভূক্ত কোরে, বকশিসের জন্যে জেদ করতে লাগলো। কায়দা মন্দ নয়। বৈদান্তিক ভায় বল্লেন, এখন ঐ পৰ্য্যন্ত থাক, ফিরে তা সবার সময় বকসিসের ব্যবস্থা করা যাবে। বোধ হয় আমাদের আর বিরক্ত করা সঙ্গত নয় মনে কোরে সে মন্দির ত্যাগ কোরে চলে গেল এবং যাবার সময় প্ৰদীপ নিবিয়ে “তুমি যে তিমিরে, তুমি সে তিমিরে” কোরে দোরে তালা লাগিয়ে গেল। সে সেই রাত্রে এই চড়াই উঠে যোশীমঠে ঘাবে। কি সাহস ! বাঙ্গালী বালক দূরের কথা, বাঙ্গালী সাহসী যুবকও একাজে প্ৰবৃত্ত হোতে সাহস করেন না । এ জন্যে একবার আমাদের নিজেকে নিন্দ করবার জন্য মনটা একট, ব্যস্ত হোয়ে উঠেছিল, কিন্তু ভেবে দেখলুম, এ বালকের এই অভ্যাস ও শিক্ষা অনেক দিনের। পৰ্ব্বত-ক্ৰোড়ে প্রতিপালিত এই সকল । r