পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σύ 88 शिंभांब्ंध्र प् বি দ্রুপপরায়ণ। পাঠিকা নাসিক। কুঞ্চিত করেন, এই ভয়ে এই চা খাওয়ার বৃত্তান্তটি বেমালুম গোপনের চেষ্টায় ছিলুম, কিন্তু ঘরের ঢেকী কুমীর হোলেই বিপদ। যাহোক এই ব্যাপার প্রকাশ কোত্তে বাধ্য করায় আমি তার উপর বড় রাগ কোয়েছিলুম, কিন্তু তাতে আমাকে তিনি যে গল্প শুনিয়ে দিলেন, তাতে আমি বড়ই জব্দ হলুম। তিনি বোল্লেন, একবার পুরুষোত্তমে এক সন্ন্যাসী একখানা ইট মাথায় দিয়ে শুয়েছিল ; কতকগুলি যাত্রী সেহ পথ দিয়ে যাচ্ছিল ; তাদের মধ্যে একজন তার সঙ্গীদের ডেকে বললে “একবার সন্ন্যাসী ঠাকুরের সুখ দেখ, যদি উচু জায়গা মাথা না রাখলে শোয়। ফেলে দিয়ে শুধু মাথায় শয়ন কোরলে, তাতেও বেচারার অব্যাহতি নেই। পূৰ্ব্বকথিত যাত্রী বলে উঠলোঁ ‘হু, সুখটুকুও আছে, রাগটুকুও আছে।” আগে যদি জানতুম কিছুদিন বাদে আমাকে এমন একটা বিড়ম্বনী সহ কোবুতে হবে, তা হোলে কখন বিষ্ণুপ্রিয়াগের সেই মন্দিরে বোসে চা খাবার যোগাড় কোত্তম না। বুঝলুম ভগবান মানুষকে সর্বজ্ঞ না করুন, নিদেন তু এক জায়গায় ভবিষ্যতজ্ঞ না কোরে কাজ ভাল করেন নি । আহারাদির পর স্বামীজি ও বৈদান্তিক শয়ন কোল্লেন । । মারি চক্ষে ঘুম নেই। মন্দিরের মধ্যে ঘোর অন্ধকাৰ, সমস্ত জগৎ নিস্তব্ধ, কেবল মন্দিরের নীচে সঙ্গমস্থল হোতে জলের ‘হু’ হু’ শব্দে নৈশ নিস্তব্ধতা ভঙ্গ কোরে দিচ্ছে। কম্বলটা মুড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে বাইরে এলুম। তখন রাত্রি অনেক এবং আকাশে শুক্লপক্ষের ক্ষীণ চন্দ্রের উদয় হোয়েছিল। বিজন পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ ঘুমন্ত, তার উপর চন্দ্রের মৃত্যু রশ্মি ব্যাপ্ত হোয়ে পড়েছে । আমি আস্তে আস্তে অতি সাবধানে মন্দিরের সিড়ি দিয়ে জলের ধারে এলুম। এবং অনেকক্ষণ সেখানে বোসে রইলুম। অতি সুন্দর মধুর রাত্রি, যদি এত শীত না থাকৃতো। ছোট ছোট ধাপে তার নিৰ্ম্মল জল আছড়ে পোড়ছে। আর ফেনিল আবৰ্ত্তের উপর জ্যোৎস্না পোড়েছে, ঠিক একখানা সুন্দর ছবি ।