পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

、হিমালを אישב মৰ্ম্মে অনুভব করে। তবু তা এ মে মাস ; মাঘ মাসের প্রবল শীত অনুমান কবুবার শক্তি মানুষের নেই। আমরা বহুকষ্টে কাষ্ঠ সংগ্ৰহ কোরে আগুন জ্বালুম এবং তার পাশেই শয্যা রচনা করা গেল। সে রাত্রে কিছুষ্ঠা ऊषीश्ट्र (ट्रॉल न । হিমালয় পৰ্ব্বতের মধ্যে এতদূরে জনমানবশূন্য সি বতুষা ব 1াশি ! ভিতরে এতখানি সমতলভূমি দেখলে, প্ৰাণে বড়ই আনন্দ বােধ হয়। হরিদ্বার থেকে যাত্রা কোরে এতদূর এসে ছ, ওর মধ্যে যাহা কিছু অল্প সমতল জমী দেখেছি তাহা শ্ৰীনগরে, তা ভিন্ন সমস্ত জায়গাই “কুক্ত পৃষ্ঠা নু জন্দেহ।” অষ্টা বক্র বিশেষ । হরিদ্বার হোতে বদরিকাশ্ৰম দুই শত মাহলেরও বেশী। এ কে তো হিমালয় প্রদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য ভারী: গম্ভীর ; এ গাম্ভীৰ্য্যের সহিত স্বতঃই সাগরের গাম্ভীৰ্য্যের তুলনা কোরুতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু এই দুই জিনিসের মধ্যে আশ্চৰ্য্য রকমের তফাৎ । একটা মহাউচ্চ, অসমান, কঠিন, সুদীর্ঘ শ্যামল বৃক্ষশ্রেণীর চিরন্তনের বাসভূমি—— আর একটী সুগভীর, সমতল, তরল, উদ্ভিদের নাম বৰ্জিত, যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু গভীর নীলিমায় সমাচ্ছন্ন। তবু এ প্রদেশের মধ্যে কেন যে তুলনার কথা মনে আসে, তাহা ঠিক বলা যায় না ; বোধ করি এ উভয়কে দেখেই আর একজনকে মনে পড়ে ; এই মহান সৌন্দর্য্যের মধ্যে বিশ্বপিতার মহিমা ব্যাপ্ত আছে, তাই একটী দেখে আসু একটীর কথা মনে উদয় হয়। হিমালয়ের একেই ত গম্ভীর দৃশ্য, তার উপর বদরিকাশ্রমের দৃশ্যটা আরও গম্ভীর । দুই দিকে দুইটা পৰ্ব্বত একেবারে আকাশ ভেদ কোরে দাঙিয়েছে এবং তাদের স্তব্ধ ছায়া বদরিকাশ্ৰমকে ঢেকে ফেলেছে ! পাণ্ডাদের মুখে শুনলুম, এই দুটি পৰ্ব্বতের একটীির নাম “নর”, অপটীর নাম “নারায়ণ ;” আরও শুনলুম, এই পৰ্ব্বতদ্বয়ের অঙ্গ ক্ৰমেই বিস্তৃত হোচ্ছে । শাস্ত্রে না কি লেখা আছে, ক্রমে এরা বৰ্দ্ধিত-কলেবর হোয়ে নারায়ণের মন্দির ঢেকে ফেলবে, সুতরাং বদরিকাশ্ৰমতীৰ্থ চির দিনের মত